ঈদ উৎসবের আমেজ এখনো পুরোপুরি শুরু না হলেও, ঈদ কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। নতুন পোশাক, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার জন্য সবারই এখন নানা রকম প্রস্তুতি চলছে। তবে ঈদ বাজারের মাঝে সানমার ফুডকোটে ইফতার বিক্রি বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে। কেনাকাটা করতে আসা বেশিরভাগ মানুষ এখন ইফতার সারতে সানমারের ফুডকোটে ভিড় করছেন। ক্রেতারা বলছেন, ইফতারের পর মার্কেটে প্রচন্ড ভিড় থাকে, তাই তারা আগে থেকে কেনাকাটা করতে আসছেন। সানমার ওশান সিটির ফুডকোটে ঈদ ইফতারে ভিড় ঠিকই আছে।
নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার সানমার ওশান সিটির ফুডকোটে ঈদ ইফতারের আয়োজন বেশ বৈচিত্র্যময়। ইফতার মেন্যুতে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের স্বাদ ও হরেক পদের খাবার। এখানে ইফতারির জন্য সাজানো মেন্যুতে এক নতুন সজীবতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্বাদের ফিউশন খাবার, যেমন বিরিয়ানি, সিজার সালাদ, মেক্সিকান ও আরবীয় রোস্ট এবং নতুন ধরনের মিষ্টি যা শহরের খাবারপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। একদিকে যেমন প্রতিটি খাবারের স্বাদে রয়েছে বাড়তি তৃপ্তি, তেমনি অন্যদিকে এখানকার পরিবেশে পাওয়া যায় রমজানের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বের একটি বিশেষ অনুভূতি।
সামনার ওশান সিটির ফুডকোটে দেখা যায়, ইফতারের আগে অনেকে ইফতার বুকিং দিয়েছে। বন্ধু–বান্ধব, ব্যাচ ইফতারের বুকিং বেশি। তবে, ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষ বেশি ফুডকোর্ট ইফতার বাজারে। এর প্রতিটি রেস্তোঁরায় হরেক পদের খাবার রয়েছে।
এখানে তেহারি, বিরিয়ানি, ইন্ডিয়ান, ইতালিয়ান খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে। ইয়াম্মি কিচেন, এন কিচেন, ক্রাশক্যাপে, ইট এন্ড ট্রিটসহ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, সবার ইফতার মেন্যুতে ভাজা পোড়ার উপস্থিতি নেই বললে চলে। এর মধ্যে বিফ আকনি, চিকেন কাবসা, চিকেন টিক্কা কাবাব, চিকেন মালাই কাবাব, চিকেন জিলা কাবাব, তান্দুরি ইউংস, ভেজিটেবল পোকরা, চিকেন শর্মা, বিফ কোপতা, চিকেন ঝাল ফ্রাই, মাটন হালিম, বিফ হালিম, চিকেন হালিমের মতো মুখরোচক খাবার। জুস বা পানীয় আইটেমের মধ্যে, তরমুজ, আনরস, আম, পুদিনা, পেয়ারার জুস রয়েছে। ইতালিয়ান মেন্যুতে রয়েছে, নাগা পাস্তা, পাস্তা সালাদ, টেক্সমেক্স পাস্তা, চারমি চিকেন পাস্তা, ম্যাক কে সীজ, সীফুড স্পাইসিসহ হরেক পদের খাবার।
সামনার ওশান সিটির ফুডকোটে ইফতার সারছেন পেকুয়ার মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে করতে ইফতারের সময় হয়েছে। সে কারণে ইফতার করা। এখানে ইফতারের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। একই ফুডকোটে পরিবার নিয়ে ইফতার সম্পন্ন করেন সুমাইয়া। ইফতার শেষে তিনি জানান, শপিং করতে এসে ইফতারের সময় হলে আসা। রমজানের আগে কখন এরকম ভিড় দেখিনি, এখন যেন ইফতারের হাট। পরিবেশও খুব ভালো।