পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা দুদকের

মিথ্যা তথ্যে চাকরি ও অর্থ আত্মসাৎ

| শুক্রবার , ২১ মার্চ, ২০২৫ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনদুদক। দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য ৩৩ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগে এ দুটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা১ এ কমিশনের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক মামলা দুটি করেছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম। তার আগে ‘তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে পুতুলের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনদুদক। ১২ জানুয়ারি করা এই মামলায় পুতুল, শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ক্ষমতায় পালাবদলের পর ওই মামলায় পুতুলকে প্রথম আসামি করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, দুই মামলার মধ্যে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে’ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর সদস্যভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর (করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) তহবিল থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সালে গড়ে ওঠা সূচনা ফাউন্ডেশন মানসিক ও স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে।

এ মামলায় সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারপারসন পুতুলের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি এর সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তা তুলে ধরে ধরেন। তিনি বলেন, আরেক মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুতুল ও নজরুল মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর ‘যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে’ ব্যাংকগুলোর সিএসআর ফান্ড থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা দিতে চাপ দেন। এর ফলে ২০১৭ সালের মে মাসে ২০টি ব্যাংক বাধ্য হয়ে তাদের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনে দেয়।

এই অর্থ কীভাবে এবং কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তা জানার জন্য অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সূচনা ফাউন্ডেশনে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। দুদকের অভিযানেও প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে এজাহারে বলা হয়েছে। ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
পরবর্তী নিবন্ধবগুড়ার মিষ্টি দই, কারখানা নগরীর আতুরার ডিপোয়