থাই, চায়নিজ, ইন্ডিয়ান কিংবা অ্যারাবিয়ান খাবারের নিয়মিত পদগুলোর কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়াম পাড়ার ইফতারির বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে ভিনদেশি স্বাদ। উন্নতমানের রেস্তোরাঁগুলো তাদের নিয়মিত পদের বাইরে রোজার মাস উপলক্ষে বাড়তি আয়োজন করেছে। গতকাল বুধবার স্টেডিয়াম পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিকেল ৩টা থেকেই ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের পাশাপাশি ভারতীয়, থাই ও চায়নিজ ঘরানার অনেক খাবার রয়েছে সেখানে।
কাজীর দেউড়ি এলাকায় স্টেডিয়ামপাড়ায় অন্তত ২০টি রেস্তোঁরা রয়েছে। এর মধ্যে দারুল কাবাব, ভিআর ডাইন টাউন, অ্যারাবিয়ান রেস্তোঁরা, ক্যাফে ১১, রেড সিলি, রয়েল হাট, রোদেলা বিকেল বেশ উল্লেযোগ্য। এসব রেসেঁ্তারা ঘুরে দেখা যায়, হরেক পদের দেশি–বিদেশি ইফতারি নিয়ে সাজাতে ব্যস্ত কর্মীরা। এসব ইফতারির মধ্যে জালি–কাবাব, টিক্কা–কাবাব, সুতি–কাবাব, ফিশ টিক্কা কাবাব, চিকেন শামী কাবাব, রেশমি কাবাব, দোস্ত কাবাব, খাসির কাবাব, বিফ বটি কাবাব অন্যতম। দামও বেশ রয়েছে।
এছাড়াও দেশি চিকেন হালিম, মাটন হালিম, মেজবানের গরুর মাংস, মিহিদানা, জিলাপি, লাচ্ছা জিলাপি, পাটিসাপটা পিঠা, কিসমিস ফিরনি, স্পেশাল পরোটা, দেশি চিকেন তান্দুরি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন চাপ, চিকেন ললিপপ, তন্দুরি, বিফ কাচ্চি ও আকনি বিরিয়ানি, মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, মাটন পায়া, চিকেন শর্মা, বিফ এগ রোল, চিকেন এগ রোল, ফিশ টিক্কা কাবাব, টক দই, মিষ্টি দই, ম্যাংগো লাচ্ছি, গরুর নলা, চিকেন শামী কাবাব, সুজির হালুয়া, ঘিয়ে ভাজা লুচি, চিটা পিঠা, চিকেন আলুর চপ, চিকেন সাসলিক, ওরশের বিরিয়ানি, মাটন চুইঝাল, মাটন লেগ কোরমা পাওয়া যাচ্ছে। লাভলেইন থেকে ইফতারি কিনতে আসা এক বেসরকারি সেবা সংস্থার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সারা দিন রোজা রাখার পর ভালোমন্দ কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করে বলেই এখানে আসা। এদের পদের বৈচিত্র্য আছে। তবে দামটা আরেকটু কম হলে আরো বেশি লোক এর স্বাদ নিতে পারত।
অ্যারাবিয়ান রেস্তোরাঁয় প্রায় ২০ পদের অ্যারাবিয়ান আইটেমের সঙ্গে ১৪ পদের কাবাব নিয়ে বরাবরের মতোই জমজমাট আয়োজন। তাদের মাটন বিরিয়ানি প্লেটার বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া, ক্যাফে ১১ রেস্তোরাঁয় ডিম চপ, ফ্রাইড চিকেন, জালি কাবাব, বিফ মুঠি কাবাব ও চিকেন ফিঙ্গার বিক্রি করা হচ্ছে।
দারুল কাবাব রেঁস্েতারায় কথা হয় চকবাজারের বাসিন্দা তাহমিনা আক্তারের সাথে। তার মতে, স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় ইফতারি এক ধরনের আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। বেশিরভাগ বিদেশি খাবার। ইফতারের পাতে বৈচিত্র্য আনতে এখান থেকে ইফতার কেনা। বিশেষ করে স্টেডিয়াম পাড়ার কাবাব অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।