যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি

| বুধবার , ১৯ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দেওয়ার ১৪০ বছর পর ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ফেরত চেয়েছেন ফরাসি এমপি রাফায়েল গ্লুকস্ম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাশিয়া ঘেঁষা নীতির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, আমেরিকা এখন আর ওই মূর্তির প্রতীকী মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে না। ফরাসি গণমাধ্যম লো মন্দে জানায়, রাফায়েল নিজ রাজনৈতিক দলের এক সম্মেলনে বলেন, আমরা আমেরিকানদের বলতে চাই, যারা স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা বিজ্ঞানের জগতে স্বাধীনতা দাবি করার জন্য গবেষকদের চাকরিচ্যুত করেছে, তাদের কাছ থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাই, স্ট্যাচু অব লিবার্টি আমাদের ফেরত দিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আপনাদের এই ভাস্কর্য উপহার দিয়েছিলাম, কিন্তু আপনারা সেটিকে আর মূল্য দিতে পারেননি। তাই এটি আমাদের কাছেই ভাল থাকবে। তার এই বক্তব্যে উপস্থিত জনতা করতালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে। স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফরাসি ভাস্কর অগুস্ত বার্তোলদির নকশায় তৈরি। এই তামার মূর্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ১০৮ তম বর্ষপূর্তিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফ্রান্সের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছিল। ১৮৮৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্মোচন করেন। ৩০৫ ফুট উচ্চতার এবং প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড ওজনের এই মূর্তি স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি দাঁড়িয়ে আছে নিউ ইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে। খবর বিডিনিউজের।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা লিখেছে, রাফায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক। বিশেষ করে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা কমানোর বিষয়টিতে তিনি তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে গবেষণা ও শিক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট কমানো নিয়েও তিনি সরব। স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনে ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেছেন রাফায়েল।

তিনি বলেন, আমরা আমেরিকানদের আরেকটি কথা বলতে চাই, যদি আপনারা আপনাদের সেরা গবেষকদের বরখাস্ত করেন, যদি সেই মানুষদের দূরে সরিয়ে দেন, যারা মুক্তচিন্তা, উদ্ভাবনী শক্তি, অনুসন্ধিৎসা আর গবেষণার মাধ্যমে আপনাদের দেশকে বিশ্বশক্তিতে পরিণত করেছে, তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। রাফায়েল ফ্রান্সের ডানপন্থি সংসদ সদস্যদেরও সমালোচনা করেন। তাদের ট্রাম্প ভক্তদের ক্লাব বলে অভিহিত করেন তিনি। পাশাপাশি রাফায়েল বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এখন ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহন্ডুরাসে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৬
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতা দিবস স্ট্যান্ডার্ড রেটিং দাবার চতুর্থ রাউন্ড সম্পন্ন