১৮টি গবেষণা প্রকল্পে সরকারি বিশেষ অনুদান পেল ইউএসটিসি

| মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি) গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক অর্জন করেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ১৮টি গবেষণা প্রকল্পে বিশেষ অনুদান লাভের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার গবেষণা সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে । এই সাফল্য উদযাপন করতে ইউএসটিসি রিসার্চ সেল (ইউআরসি) কর্তৃক আয়োজিত ‘রিসার্চ গ্রান্ট অ্যাওয়ার্ড রিসেপশন প্রোগ্রাম’ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো ইউএসটিসির ফার্মেসি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকরা এই গবেষণা অনুদান অর্জন করেছেন। এই অর্জন শুধু ইউএসটিসির গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রগতিই নয়, চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলাইমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন । এছাড়াও, ইউআরসিএর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. সোহেল রানা এবং রেজিস্ট্রার দিলীপ বড়ুয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন রিসার্চ সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, কোঅর্ডিনেটর ড. মনির এবং রিসার্চ এক্সেকিউটিভ সরোয়ার মোর্শেদ শাওন। ড. সাহাবুদ্দিন তার সূচনা বক্তব্যে গবেষণা অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংস্কৃতিকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করা । প্রধান অতিথি ও অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে গবেষণা খাতে ইউএসটিসির অগ্রগতির প্রশংসা করেন । তারা উল্লেখ করেন যে, এই গবেষণা অনুদান শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক খ্যাতি বৃদ্ধিই নয়, দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানে ইউএসটিসির ভবিষ্যৎ গবেষণা পরিকল্পনা এবং এই অনুদানের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও একাডেমিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থীরা যাতে জ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ইউএসটিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এই সাফল্যের মাধ্যমে ইউএসটিসি দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অবস্থান আরও সুসংহত করেছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থীরা দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্থানে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসমূহে মাস্টার্স অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম আজ শুরু