সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন থাকতে নেই

মিতা পোদ্দার | সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেকটা মাবাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক হওয়া উচিৎ বন্ধুত্বপূর্ণ। যদি তা হয় তাহলে সন্তানের মানসিক বিকাশ ঘটবে দ্রুত। শুধু মাবাবা কেন একটা পরিবারের সব সদস্যের ভেতর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

পরিবারের সবার যুক্তি পরামর্শে, সিদ্ধান্ত বা অনুভূতি আদানপ্রদানের মাধ্যমে পরিবার খুব সহজে যেকোন বিপদ কেটে উঠতে পারে। ছোট বড় সব ধরনের কাজে পরিবারের সবার মতামত নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু পরিবার আছে যেখানে মাবাবার সাথে সন্তানের একটা দূরত্ব, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের কিংবা বোনের সাথে বোনের বা ভাইয়ের একটা দূরত্ব বিরাজ করে। আমি মনে করি সন্তানদের সব কিছু বোঝার ক্ষমতা থাকে না যা তার পিতা মাতা বুঝেন। যখন ভালো আর মন্দের মাঝামাঝি চলে বসবাস তখন সন্তানকে ভালোটা দেখানোর, বুঝানোর দায়িত্ব মাবাবার। যদি মনে করেন আপনার সন্তান তার ইচ্ছামত চলুক সেখানে আপনি একটা ভুল করলেন। আর সন্তান যে ভুলটা করলো তাও আপনার জন্য। তাকে ভুল করতে সাহায্য করলেন আপনি বা আপনারা। কোন কোন মাবাবা অর্থের কাছে কেনা হয়ে যায়। তাদের পরবর্তী জীবন চলার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা অর্থের কাছে কেনা হয়ে যায়। যে সন্তানের আয় বেশী তারা তার হয়ে কথা বলে, তার কথা মত চলে। পরিবারে তখন মতামত বা পরামর্শ এককেন্দ্রিক হয়ে যায়। আর্থিকভাবে দুর্বল সন্তানকে গুরুত্ব দেয় না মাবাবারা। মাবাবার কর্মের কারণে দুর্বল সন্তানটি যদি মনে কষ্ট পেয়ে কিছু বলে বা করে তখন সমাজের কাছে মাবাবারা এই কথার বা কর্মের অন্য ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে। সমাজ তখন সন্তান নয় মাবাবারটাই গ্রহণ করে। শুধু মাবাবা বলে সমাজ তখন অযুক্তিক ও অন্যায়টা গ্রহণ করে। প্রশ্ন উঠে কি করবা ওরা মাবাবাতো! আসলেই কি করবেওরাতো মাবাবা! আমার এইলেখায় কেউকেউ প্রতিবাদ তুলতে পারেন, বলতে পারেন পাগলের প্রলাপ, হয়তো এটাই স্বাভাবিক। এই সমাজে সত্যি কথার জায়গা নেই। সন্তানকে সুশিক্ষাদেওয়ার পরেও মাবাবারা আজ বৃদ্ধাশ্রমে। মনে হয় আমাদের সম্পর্কগুলো টানাপোড়েনের মাঝে এমনই হয়। যা হওয়া মোটেই আমাদের কাম্য নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড হোক
পরবর্তী নিবন্ধআমিত্ব নয়