ক্রেতা সুরক্ষার বেসরকারি উদ্যোগ ভলান্টারি মুভমেন্ট ‘কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ–সিআরবি’ চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস–২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘টেকসই জীবনধারায় একটি ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর’।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সেলফ এইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আ হ ম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠক নোমান উল্লাহ বাহার। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অর্ন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এঙিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআরবি’র মহাসচিব কে.জি.এম সবুজ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য মাহবুব রানা, মাহফুজুর রহমান, মাওলানা তৌহিদুল হক চৌধুরী, লায়ন মো. ইউসুফ, লায়ন মো. কামাল উদ্দিন, ফরহাদ উদ্দিন সোহাগ, এম.এ হালিম, এস.এম কামরুল ইসলাম, নেছার আহমদ খান, সাজ্জাদুল হক চৌধুরী, তাহেরা শারমীন প্রমুখ।
আলোচনা সভার আগে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে ক্রেতা অধিকার সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিকাল ৩টায় কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন–সিআরবি ‘পরিবহন ও ঘর ভাড়া নির্ধারণে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের দাবি’ শিরোনামে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করেছে।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স কার্যক্রমসহ মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রমজানে ৪০০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘোষণাও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। টাস্কফোর্স অভিযান জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে চারটি করে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শুধু জেল–জরিমানা করে অসাধু সিন্ডিকেট রোধ করা সম্ভব নয়, পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সম্মিলিত উদ্যোগে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এজন্য ভোক্তা–ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোগে সুখ নেই, ত্যাগেই সুখ। ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভোক্তাকে ঠকিয়ে ব্যবসা করলে পরিণাম ভালো হয় না। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।