প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে

দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা

| শুক্রবার , ১৪ মার্চ, ২০২৫ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা ও বেতন পাবেন বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন। খবর বিডিনিউজের।

পরে দোলন সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পেলেও প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পান না। তাদের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম (যারা প্রশিক্ষিত) ও ১২তম (প্রশিক্ষিত নন) গ্রেডে। ননক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান। তাদের আবেদন ছিল তিনটিদ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা, ১০ম গ্রেড এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশান গ্রেড প্রদান। তবে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ছিল, টাইম স্কেলের দাবিটা ছেড়ে দিলে তাদের আর কোনো আপত্তি নেই। কেননা ২০১৫ সালের পর থেকে টাইম স্কেলের প্রভিশনটা আর নাই। এটা আবার যখন থেকে চালু হবে তখন থেকে পাবে। সেই মোতাবেক আমরা সেটি বাদ দিয়ে আজ আবেদন করেছিলাম। এখন থেকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা এবং ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। হাই কোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেয়। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে রায় দিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ
পরবর্তী নিবন্ধকপার চিমনি রেস্টুরেন্টে রাজকীয় ইফতার ও ডিনার