চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারীতে সংঘটিত দুর্ঘটনা থেকে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে প্রাণে বেঁচে গেলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইসমত আরা ও তার ছেলে হাফেজ কামরুল ইসলাম। রিকশাটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে মা–ছেলে নেমে গিয়েছিলেন। না হলে লাশের সারিটা আরো দীর্ঘ হতো।
ইসমত আরা জানান, নিহতদের বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে জসিমের ছেলে আদিল ও মেয়ে রিজভীকে রিকশায় নিয়ে চালক রুহুল আমিন কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। ছেলেকে কক্সবাজারের বাসে তুলে দেয়ার জন্য সকালে ইসমত আরা গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের দেখে রিকশাতে তুলে নেন রুহুল আমিন। কিছুদূর যাওয়ার পর হেঁটে কোচিংয়ে যেতে দেখে তুশিনকেও ডেকে তুলে নেন তার রিকশায়। ইসমত রিজভী, তুশিন ও আদিলের সাথে রিকশার পেছনে গাদাগাদি করে বসেন। আর রিকশার সামনে চালকের সাথে বসেন তার ছেলে হাফেজ কামরুল ইসলাম। দোহাজারী পৌর সদরে পৌঁছলে ইমসত ও তার ছেলে কামরুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে সড়কের অপর প্রান্তে নামেন। এসময় ভাড়া দিতে চাইলেও পরে নিবেন বলে সামনে এগিয়ে যান রুহুল আমিন। রিকশাটি কোচিং সেন্টারের দিকে যাওয়ার সময় পেছন থেকে চাপা দেয় দ্রুতগতির ঘাতক বাসটি। তিনি দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রিকশায় চাপা পড়ে রয়েছে আদিল, রিজভী, তুশিন ও চালক রুহুল আমিন। আর এক মিনিট সময় পেলেই তারা হয়তো কোচিংয়ে ঢুকে যেতে পারতো। বেঁচে যেতো সবার প্রাণ। ইসমত আরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন এমন হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হবেন।