যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের (২,৯৮০ কোটি কানাডীয় ডলার) পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার জবাবে এই শুল্ক আরোপ হল। এই শুল্কের আওতায় পড়বে ১,২৬০ কোটি ডলারের ইস্পাত পণ্য, খেলাধুলার সরঞ্জাম, কম্পিউটার এবং কাস্ট আয়রন পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনও দেশের চেয়ে কানাডা থেকেই ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করে বেশি।
কানাডার অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাংক বলেছেন, সরকার কানাডার কর্মক্ষেত্র এবং ব্যবসা–বাণিজ্যে এসব পাল্টা পদক্ষেপের প্রভাব কমানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা কানাডার নাগরিকদের চাকরি এবং ব্যবসার সুরক্ষায় এবং কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের হাতে থাকা সব হাতিয়ারই কাজে লাগাব। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে কানাডার শুল্ক কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে, জানান লেব্ল্যাঙ্ক। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, তারা কানাডার বিরুদ্ধে সব মার্কিন শুল্ক তুলে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এক্ষেত্রে কোনও অবস্থানে পৌঁছতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক বহাল রাখা হবে এবং এপ্রিলে তা বাড়ানোও হবে বলে জানান লেব্ল্যাংক। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সরকারের সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্র–মেঙিকো–কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে সম্মান করা। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদে এই চুক্তি হয়েছিল এবং তিনি এতে সই করেছিলেন।
এবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প মার্কিন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদকদের সুরক্ষা জোরদারে বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন এবং নাট–বল্টু থেকে শুরু করে বুলডোজারের ব্লেড ও সোডা ক্যান পর্যন্ত, ধাতু দুইটি দিয়ে বানানো শত শত পণ্যের শুল্ক বাড়িয়েছেন। বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্বিন্যাস করে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে আসতে তার দেওয়া এ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।