খাতুনগঞ্জ শুধু চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। তবে এটি ঠিক নানা কারণে খাতুনগঞ্জের আগের মতো জৌলুস নেই। এক সময় এই খাতুনগঞ্জ থেকে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পরিবহন করা হতো। খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীরা আবার বৈষম্যের শিকারও হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেলের কারণে এখানকার ব্যবসায়ীরা ট্রাকে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। অথচ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও দেশের আর কোনো মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল নেই। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী–এমপিদের দুয়ারে দুয়ারে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ধর্ণা দিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি।
গতকাল বুধবার নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’তে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সহ–সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদের সঞ্চালনায় এবং এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, চট্টগ্রাম বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, মহনগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আমীর ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ন মাহমুদ চৌধুরী, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহাবুবুল হক, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ–সভাপতি এসএম নুরুল হক, বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ–সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, জামায়াতে ইসলামী দক্ষিণ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি এসএম মোরশেদ হোসেন, নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আলম। মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মেহেদিবাগ সিডিএ জামে মসজিদের খতিব ড. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।