বিএনপি মিডিয়া সেলের লোক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৪

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১২ মার্চ, ২০২৫ at ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির মিডিয়া সেলের লোক পরিচয় দিয়ে ব্রিক ফিল্ডে চাঁদাবাজি করতে এসে খাগড়াছড়িতে ৪ কথিত সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাহবুবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়াদ, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির আব্দুল মতিনের ছেলে মোক্তাদির হোসেন ও গুইমারার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে আল আমীন। গতকাল রাতে জেলা সদরের ভাঙা ব্রিজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ভুক্তভোগী ব্রিক ফিল্ড মালিক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ৭৮ জন যুবক একটি প্রাইভেটকারে করে দীঘিনালার রাকীব ও সেন্টুর ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে নিজেদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। প্রাইভেট কারের সামনে ‘গণতদন্ত’ স্টিকার লাগানো ছিল। প্রথমে ব্রিক ফিল্ড মালিক সেন্টুর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সেন্টু ভয়ে ১ লাখ টাকা দেন। এরপর বাদী মো. আলমগীর হোসেন ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি ১ লাখ দিতে চাইলেও না নিয়ে উল্টো হুমকিধমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি ব্রিক ফিল্ড মালিক সমিতির সদস্যদের জানানোর পর তারা জড়ো হলে আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গালাগালি করতে থাকেন। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা কখনো কখনো নিজেদের দৈনিক দিন দিগন্ত টিভিসহ একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এ সময় গণতদন্ত স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো১১৩৯৬৮। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গতকাল দুুপুরে এখানে চার জন সাংবাদিক এসেছিলেন। তারা নিজেদের বিএনপির মিডিয়া সেলের লোক বলে পরিচয় দেন। আমার সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেছিল। পরে তারা চলে যান। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারের প্রেরণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় আগুনে পুড়ল ৫ বসতঘর
পরবর্তী নিবন্ধসাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯%