কোরআন মজিদের নির্দেশনা মেনে চললে জীবন হয়ে উঠবে দ্যুতিময়

আ ব ম খোরশিদ আলম খান | মঙ্গলবার , ১১ মার্চ, ২০২৫ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মহাঐশীগ্রন্থ হচ্ছে কোরআন মজিদ। যা এই মহিমান্বিত বরকতপূর্ণ রোজার মাসে প্রিয় নবী রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অবতীর্ণ হয়। প্রিয় নবীর (.) নবুয়াতি জীবনে ধাপে ধাপে তেইশ বছর ধরে কোরআন মজিদ নাজিল হয়যা যুগে যুগে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ হিসেবে মানবজাতিকে সুপথ দেখাচ্ছে। কোরআন মজিদ কেবল মুসলমানদের জন্য পথনির্দেশনা গ্রন্থ নয়, বরং এর যাবতীয় পথ নির্দেশনা সর্বজনীন অনুসরণযোগ্য। এর দিক নির্দেশনা মেনে চলে যে কেউ উপকৃত এবং চলার পথে দিশা খুঁজে পেতে পারে। কোরআন মজিদে এ ঐশীগ্রন্থকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘হুদাল্লিন্নাস’ তথা মানবজাতির পথ প্রদর্শক হিসেবে। এই কোরআন মজিদ সংরক্ষিত আছে ‘লওহে মাহফুজে’ বা আল্লাহ পাক কর্তৃক বিশেষ সুরক্ষিত স্থানে। মানুষের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামষ্টিক জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোরআন মজিদের দিক নির্দেশনা পাথেয় হতে পারে। অনুরূপকভাবে অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি, ব্যবসাবাণিজ্যসহ সামগ্রিক জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোরআন মজিদের দিক নির্দেশনা মেনে চলে অশেষ উপকৃত হওয়া যায়। কোরআন মজিদের সার্বিক দিক নির্দেশনা মেনে চললে দুঃখপীড়িত জীবন হয়ে উঠবে সাফল্যপূর্ণ ও দ্যুতিময়।

পবিত্র কোরআন অবতীর্ণের কারণেই রমজান মাসের মাহাত্ম্য ও ফজিলত বহুগুণ বেড়ে গেছে। এ মাসেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। শবে কদরের ফজিলত কোরআন মজিদ অবতীর্ণের কারণেই। কোরআন মজিদের সুরা বাকারার ২৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ পাকের বাণী-‘রমজান মাস, যে মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে কোরআন মজিদ, মানুষের জন্য হেদায়ত স্বরূপ এবং পথ নির্দেশনার প্রমাণ ও সত্যমিথ্যা পার্থক্য নিরূপণকারী হিসেবে। সূরা কদরে আল্লাহ পাক বলেন, ‘ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতিল কাদরি’ অর্থাৎ ‘আমি কদরের রাতে কোরআন মজিদ নাজিল করেছি।’ প্রিয় নবী (.) বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই প্রকৃত আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহর একান্ত পরিবারভুক্ত। (মুসনাদে আহমদ ১২২৯২)। হাদিসগ্রন্থ মুসলিম শরিফে ২৯১৩ নং হাদিসে রয়েছে-‘যে অন্তরে কোরআন নেই, তা যেন পরিত্যক্ত বিরাণ বাড়ি।’ হাশরের দিনে কোরআন মজিদ পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী দেবে বলেও হাদিসগ্রন্থ মুসলিম শরিফে উল্লেখ রয়েছে। কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করা, শোনা এবং শোনানো বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল। কোরআন মজিদের প্রতিটি হরফ পাঠে ১০টি নেকি অর্জিত হয়। আর রোজার মাসে এই নেকি বা সওয়াবের পরিমাণ ৭০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। তবে কোরআন মজিদ অর্থসহ বুঝে পড়া জরুরি। অর্থ না বুঝলেও এর ব্যাপক পঠন পাঠনে অশেষ পুণ্য রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবুজ নীল লাল হলুদে আলাদা হবে আমদানির পণ্য
পরবর্তী নিবন্ধচার গুণ হারে মাশুল আদায় শুরু