পটিয়ায় শর্ট সার্কিটের আগুনে নিঃস্ব ২২ জেলে পরিবার

হাটহাজারীতে পুড়ল ৪ বসতঘর

পটিয়া ও হাটহাজারী প্রতিনিধি | সোমবার , ১০ মার্চ, ২০২৫ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেল ২২ জেলে পরিবার। উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখাইন গ্রামে ভয়াবহ এ অগ্নিদুর্ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ২২টি বসতঘর। এছাড়া হাটহাজারীতে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে চার পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখাইন গ্রামের স্বপন সরদারের বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই মাটি ও টিনের এবং টিন সেটের ঘরগুলোতে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে ২২টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন স্বপন, স্বদেশ, সুভাস, শ্যামল, শিবু, দীপু, রানা, তপন, মন্না, রিপু, ইমন, শংকর, সুব্রত, মিলন, সুবল, রুবেল, গণেশ, খোকন, রিশু, কৃষ্ণা, বাবলা এবং শাপলা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয় দাশ বলেন, জেলে পাড়ায় ঘনবসতি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের প্রচেষ্টা ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া এক ঘরের মালিক সুমন বলেন, আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে আমাদের রাত কাটাতে হবে। পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া জানান, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাটহাজারী : গতকাল দুপুরে উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী তালুকদার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে। জানা যায়, রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে একটি টিনের ঘর সহ ৩টি পাকা ঘর, ঘরে রক্ষিত চার পরিবারের মূল্যবান আসবাবপত্র সহ একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।

হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মো. মোরশেদ, নুরুল হুদা, নুরুল হক ও সাহাবুদ্দিন। হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এদিকে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ত্রিশ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ষণের প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় লোহাগাড়ার শিক্ষার্থীর মৃত্যু