আনোয়ারায় মেয়ের জামাইর লাঠির আঘাতে রশিদা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ৬টায় উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের পূর্ব পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন মানিক পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত মানিকের স্ত্রী হাফসা আকতার নার্গিস বলেন, দুই বছর আগে মানিকের সাথে সম্পর্ক করে আমাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন আমাদের সম্পর্ক ভাল থাকলেও আমার স্বামী, শাশুড়ি নানা কারণে ঝগড়া করে আমাকে মারধর করত। বিয়ের এক বছর আগে থেকে আমি কেইপিজেডে চাকরি করি। মাস শেষে আমার স্বামী বেতনের সব টাকা নিয়ে নেয়। তারপরও তাকে এক লক্ষ টাকা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দিতে বারবার চাপ সৃষ্টি করে। গত এক সপ্তাহ ধরে ঋণ নিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে বারবার মারধর করছিল। আমি অতিষ্ঠ হয়ে গত বৃহস্পতিবার বাপের বাড়ি চলে আসি। এতে আমার স্বামী মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। রোববার (গতকাল) ৬টায় লোহার রড নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে মারধরের চেষ্টা কালে আমার চিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হয়ে তার হাত থেকে লোহার রড কেড়ে নেয়। এ সময় আমার মা রশিদা বেগম বাড়িতে ফেরার পথে মানিক আমার মাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এতে ঘটনাস্থলে আমার মা প্রাণ হারান। এ সময় মানিক বেড়িবাঁধ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
নিহতের বড় ছেলে আবদু রশিদ বলেন, মানিক আমার সৎ ভাইয়ের ছেলে। এ বিয়েতে আমরা কেউ রাজি ছিলাম না। আমার বোনের সাথে সম্পর্ক করে এ বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারে কোন শান্তি ছিল না। মানিক বারবার টাকার জন্য আমার বোনকে চাপ দিত এবং মারধর করত।
আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৈয়বুর রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘাতক মানিককে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।