রমজান মাসে চট্টগ্রামে সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আগেভাগে সঞ্চালন লাইন এবং সাব–স্টেশনগুলোর মেইনটেন্যান্স কাজ শুরু করেছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু রমজানের আগে সেই কাজ শেষ করতে পারেনি পিডিবি। পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পরও প্রতি সপ্তাহে চলছে পিডিবির লাইন সংস্কারের কাজ। সংস্কার কাজের জন্য কোথাও একটানা ৯ ঘণ্টা, কোথাও ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার পবিত্র রমজানের সপ্তম দিবসে নগরীর বিশাল এলাকায় পিডিবির মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য ভোর ৫টা থেকে কোথাও ১১টা, কোথাও ২টা এবং কোথাও ৩–৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এই সংস্কার কাজের জন্য পত্রিকায় আগে বিজ্ঞপ্তি দিলেও রমজানে একটানা দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বিশাল অংশ জুড়ে পানির সংকটে পড়েছেন নগরবাসী।
সরেজমিনে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে স্টেডিয়াম সাব–স্টেশনের অধীনে লাভলেইন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইনের আশেপাশের গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। মেরামত কাজে লাভলেইনসহ আশেপাশের এলাকায় সকাল ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা–দুটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। একই অবস্থা ছিল রহমতগঞ্জ, জেএম সেন হল রোড, চেরাগী পাহাড়, মোমিন রোড, নন্দনকানন, এনায়েত বাজারসহ আশপাশের এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৩টায় মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিন আজাদীকে জানান, তাদের এলাকায় ভোর ৫টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকেও বিদ্যুৎ আসেনি। একই অবস্থা ছিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মুরাদপুর সিডিএ এভিনিউ, মির্জাপুর, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোড, মির্জাপুর, বহদ্দারহাট, নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, এশিয়ান হাউজিং সোসাইটিসহ বিশাল এলাকাজুড়ে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (উত্তর) শহীদুল ইসলাম মৃধা আজাদীকে বলেন, বিদ্যুতের কোনো সংকট নেই। প্রকল্পের অধীনে প্রতি শুক্র ও শনিবার কিছু কিছু এলাকায় মেইনটেন্যান্সের কাজের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই কাজের জন্য আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।