মঞ্চে বসা নিয়ে শ্রমিকদলের দুই গ্রুপে হাতাহাতি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৯ মার্চ, ২০২৫ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

মঞ্চে বসা নিয়ে শ্রমিকদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এসময় পেশাগত দায়িত্বপালনকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সনকে লাঞ্ছিত করা হয়। গতকাল বিকেলে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতার মাহফিলের পাশাপাশি এটি ছিল সদ্য প্রয়াত বিএনপি’র ভাইসচেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের শোকসভা। সভার এক পর্যায়ে ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়াজীর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা প্রবেশ করেন। এরপর মিয়াজী মঞ্চে উঠতে চাইলে সেখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে বাধা দেন। এতে তার অনুসারিদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের বাকবিতণ্ডা ও অল্প হাতাহাতি হয়। অবশ্য সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ দৃশ্য ধারণকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন সুজনকে বাধা দেয়া হয়। তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ সময় মঞ্চে বসা নগর শ্রমিক দলের সভাপতি তাহের আহমেদকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নজরুল মিয়াজী। তার দাবি, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডএ কর্মরত থাকা অবস্থায় শ্রমিক লীগের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল তাহেরের।

এ বিষয়ে নজরুল মিয়াজী আজাদীকে বলেন, চারপাঁচশ লোক নিয়ে আমি সভায় আসি। আমি মঞ্চে উঠতে চাইলে যুব শ্রমিক দল পরিচয়ে কিছু ছেলে আমাকে বাধা দেয়। অথচ যমুনায় শ্রমিক লীগকে সহযোগিতাকারী তাহের মঞ্চে বসে আছে। বিগত ৯/১০ বছর মহানগর শ্রমিক দলে সে সক্রিয়ও ছিল না। এটা নিয়ে একটু হৈ চৈ হয়েছে। তিনি বলেন, শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্রে যুব শ্রমিক দল বলে কিছু নেই। এরপরও এটা কেন গঠন করা হয়েছে বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন আজাদীকে বলেন, শোক সভায় তো মিছিল নিয়ে আসা যায় না। মিয়াজী মিছিল নিয়ে আসে। তবে ওটা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি বলেন, টেবিলে খাবার পরিবেশনের সময় এক কর্মীর গায়ে ঝোল পড়ে যায়। এটা নিয়ে একটু রাগারাগি করছিল। আর কিছু হয়নি। কোনো মারামারি হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি লাইনচ্যুত
পরবর্তী নিবন্ধমেমন মাতৃসদন হচ্ছে ফ্রি হাসপাতাল