প্রতিদিনের ইফতারে রোজাদাররা ভিন্ন স্বাদের খাবারে রোজা র্পূণ করতে চান। এ কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন খাবারের সন্ধান চান। বিশেষ করে যেখানে একই সাথে সব খাবার পাওয়া যাবে। দেশীয়– অ্যারাবীয়, ইন্ডিয়ান, র্তুকিসহ সব দেশের জনপ্রিয় ইফতার আইটেম। দেশীয় ইফতারের সাথে বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ইফতারি নিয়ে এসেছে বারকোড রেস্তোরাঁ। প্রায় ২৬০ পদের দেশি–বিদেশি ইফতারির পরসা সাজিয়ে চালু করেছে বারকোড ইফতার বাজার। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছোলা–বেগুনির পাশাপাশি নতুন নতুন খাবারের স্বাদে রোজা পূর্ণ করতে চান। সেকথা মাথায় নিয়ে এবারের বারকোড ইফতার বাজারে প্রায় কয়েকশ রকমের ইফতারি রয়েছে। দুপুর ২ টা থেকে ইফতারি বেচাকেনা শুরু হয়।
বারকোড এবার ১৪ রকমের ২৬০ পদের ইফতারি নিয়ে এসেছে। অ্যারাবিয়ান, জাপানিজ, উপমহাদেশীয়, মিষ্টান্ন, বিয়ে বাড়ির আইটেম, চাটঁগাইয়া মেজবানি, পানীয়, নিয়মিত ইফতারিসহ হরেক পদের ইফতারি। বিভিন্ন পদের খাবার রাখা আছে নির্দিষ্ট স্থানে। ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী ইফতারি নিতে পারবেন। চাইলে একপিস করে একইসাথে সব ধরনের ইফতারির স্বাদ নিতে পারবেন।
মুরাদপুর বারকোড ফুড জংশনে গিয়ে দেখা যায়, ইফতার বাজারের প্রবেশ মুখে বারকোড স্পেশাল জিলাপি তৈরি হচ্ছে। কারিগরের দক্ষ হাতে গরম তেলে ভাজছেন। সেখান থেকে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা। একটু সামনে এগিয়ে ভেতরে ঢুকতে চোখে পড়ে হাজার পদের ইফতারির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা। ক্রেতাদের ইফতার নিতে সাহায্য করছেন। ঐতিহ্যবাহী ইফতার যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ভিনদেশি হরেক পদের ইফতারি। এর মধ্যে রয়েছে মাকমালি তান্দুরি, চিকেন টিক্কা, বিফ শিক কাবাব, বিফ ভুনা খিচুড়ি, বিফ কালা ভুনা, ফিশ কাবাব, তান্দুরি মাশরুম, মোরগ মালাই কাবাব, জাপানি ফিশ টেম্পুরা, জাপানি ফিশ স্টিক, জাপানি চিকেন ব্রেস্ট, ফিশ কাস্তো, কোরিয়ান ফ্রাইড চিকেন, চিকেন হালিম মাটন হালিম, চিকেন তান্দুরি, চিকেন রোল, চিকেন সাচলিক, চিকেন উইন্স ফ্রাই, শাহী জিলাপি, রেশমি জিলাপি, জিলাপি, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, পাকোড়া, গুড়ি, এগ পটেটো চপ। এসব ইফতার সামগ্রী দক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে কাজ শুরু করেন।
আগ্রাবাদ থেকে ইফতার কিনতে আসা ডা. সাইদুর রহমান জানান, বারকোডের ইফতার বাজারে বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ইফতারি পাওয়া যায়। একসাথে ইফতারি ও মেজবানির মাংস কিনেছি। তাদের খাবারের মান বেশ ভালো। নিয়মিত অন্তত সপ্তাহে একবার পরিবার নিয়ে বারকোডে খাওয়া হয়।
চান্দঁগাও আবাসিক এলাকা থেকে ইফতার কিনতে আসা শাহিদ বলেন, বারকোডে ইফতারের নাম অনেক শুনেছি। অনলাইনেও অনেক ভিডিও দেখেছি। তাই আজ কিনতে এলাম। দাম অন্যসব দোকানের মতোই। তবে মান ভালো। বারকোডের মেজবান বেশ পছন্দের।
বারকোড রেস্তোরাঁর কর্ণধার মনজুরুল হক জানান, বারকোড ইফতার বাজার মূলত ডির্পামেন্টাল সেটারের মত। এখানে নির্দিষ্ট জায়গায় সবধরনের খাবার রাখা আছে। সবাই এসে নিজ নিজ পছন্দের ইফতারি নিতে পারবেন। তবে, এবার ইফতার বাজারের সাড়া একটু কম। আশা করছি সামনে আরো বাড়বে।