দক্ষিণ রাউজানে ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি, খুন, সন্ত্রাসসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত যুবদল নেতা পরিচয়ধারী আরাফাত মামুনকে (৪৮) তার এক সহযোগীসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার সহযোগীর নাম বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)।
রাউজান থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ সন্ত্রাসী মামুনকে ধরতে পূর্ব গুজরায় তার মামার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মামুন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার অস্ত্রে ত্রুটি থাকায় ফায়ার হয়নি এবং পুলিশ দল কোনো অঘটন ছাড়া মামুনকে সহযোগী বিপ্লবসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মামুন ও সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও একটি এলজিসহ গুলি পাওয়া গেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসাবে পরিচিত মামুনের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত নয়টি মামলার খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে রাউজান থানা পুলিশ। এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষ নেতা–কর্মীদের ওপর গুলি–হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। তাছাড়া গত ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় মামুন ও সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে তিনি জানান।