চকরিয়া সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পাস করানোর দাবিতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে হাজারো যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে কলেজ অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
গতকাল সোমবার দুপুর বারোটার দিকে চকরিয়া সরকারি কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, চকরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ও অনিয়মিত প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী সমপ্রতি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৯ জন, মানবিক ১১০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১০৯জন শিক্ষার্থী পাস করে। এতে ফেল করে ৬৪০ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগের সীমান্ত বড়ুয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথমবার ফলাফলে আমি পাস করেছি। কিন্তু দ্বিতীয়বার সংশোধিত ফলাফলে আমার নাম নেই। আমাকে ফেল দেখানো হয়েছে। এই রকম অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবারে পাস করলেও পরে তাকে ফেল হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাই আমরা এই ফলাফল বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ফলাফল পুর্নবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজ বন্ধ, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়ে লেখাপড়া করতে না পারায় নির্বাচনী পরীক্ষা তেমন ভাল করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া খাতা নিরীক্ষণে শিক্ষকদের কড়াকড়ির কারণে এই ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। এদিকে দুইবার ফলাফল ঘোষণা কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলেও মনে করছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষা পরিচালনায় একটি কমিটি রয়েছে। তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।