যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রস্তাব তাতে হামাসের সম্মতি দাবি করে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস তাতে রাজি হয়নি। যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে উইটকফ মুসলিমদের রমজান ও ইহুদিদের পাসওভারের সময় পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের। ইসরায়েল বলেছে, তারা প্রথম ধাপের মেয়াদ আরও ছয় সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি আলোচনায় কোনো ফল না আসে, তাহলে তেল আবিব ফের গাজায় অভিযান শুরু করবে। হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ ইসরায়েলের ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন। তিনি এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর দ্রুত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন। হামাস চায়, জানুয়ারিতে হওয়া চুক্তিতে যেভাবে ছিল সেভাবেই দ্বিতীয় ধাপে জিম্মিদের পাল্টায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে হবে।