রোজার মূল লক্ষ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন

আ ব ম খোরশিদ আলম খান | সোমবার , ৩ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

তাকওয়া বা আত্মশুদ্ধি অর্জনই রোজার মূল পয়গাম। প্রিয় নবী (দ.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায়ও মিথ্যা বলা ও তদনুযায়ী আমল করা বর্জন করেনি তার এরূপ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই (বুখারি শরিফ)।’ রোজার মূল লক্ষ্য হচ্ছে তাকওয়া বা পরহেজগারিতার গুণ অর্জন করা। হৃদয়ের পবিত্রতা, শালীনতা, নৈতিকতা এবং আত্মার সজীবতা ও চিন্তাধারার বিশুদ্ধতা অর্জনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করাই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য। কোরআন মজিদে ‘লায়াল্লাকুম তাত্তাকুন’ অর্থাৎ যাতে তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীরুতা অর্জন করতে পারো বলে রোজার মূল উদ্দেশ্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

রোজার মাধ্যমে প্রবৃত্তির তাড়না নিয়ন্ত্রণে বিশেষ শক্তি ও প্রেরণা অর্জিত হয়। প্রকৃত অর্থে এটাই তাকওয়া বা আল্লাহভীতির মূল ভিত্তি। রোজা রাখা সত্ত্বেও তাকওয়ার গুণ রপ্ত করতে না পারলে এ রোজা হবে অন্তঃসারশূন্য; যা আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। রোজার মাধ্যমে প্রবৃত্তির তাড়নাকে অবদমিত করে তাকওয়ার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হলে প্রিয় নবীর (দ.) অনুসৃত ও প্রদর্শিত নিয়মে রোজা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের চোখ, কান, জবান, পেট ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে হারাম খাওয়া, হারাম দেখা, হারাম শোনা, হারাম বলা ইত্যাদি মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। তাকওয়া শুধু গুনাহের কার্যাবলি থেকে বেঁচে থাকার নাম নয়, বরং গুনাহের যাবতীয় মন্দ কাজ বর্জন করে নেক আমলগুলো কার্যকর করাই হলো তাকওয়া। কাজেই রোজার মাধ্যমে মানুষ কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য এই ষড়রিপুকে দমন করতে সক্ষম হয় এবং রোজাদার একজন পরিপূর্ণ মুত্তাকি ও আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দাহ হিসেবে পরিগণিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনানা আইটেম, মুখরোচক ইফতারি
পরবর্তী নিবন্ধপ্র্রথম রোজায় স্বস্তিতে নগরবাসী