নগরের খুলশী থানার কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামির তথ্য সংগ্রহ করতে আসা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক মুদি দোকানদার মারা গেছেন। তার নাম লাল মিয়া। পরিবার ও পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দোকানদার পুলিশ দেখে ‘আতঙ্কিত’ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি করেন কেউ কেউ।
কুসুমবাগের রাজীব ভবনের নিচ তলায় দোকান রয়েছে লাল মিয়ার। বাড়ি বরিশাল হলেও পরিবার নিয়ে কুসুমবাগ এলাকাতেই থাকতেন। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, থানা পুলিশের একটি দল সেখানে ওয়ারেন্টের এক আসামির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। সেসময় আসামির বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে উনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। লাল মিয়া বয়স্ক মানুষ এবং স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় হয়ত ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমরা সাধারণত কোনো মামলায় ওয়ারেন্ট হলে সেটার তদন্ত বা তথ্য সংগ্রহ করি। তার অংশ হিসেবে পুলিশ সেখানে যায়। লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ৫ অগাস্ট এর আগে বা পরের সময়ের কোনো মামলা আমাদের থানায় নেই।
লাল মিয়ার স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে মো. শরিফ সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে দুইজন পুলিশ একটি মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে দোকানে আসেন এবং তাদের সাথে কথা বলার জন্য উনাকে জোর করেন বলে স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। আমার ফুফা তখন ভয়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে মেডিকেল সেন্টারে (একটি বেসরকারি হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তাররা বলেছেন তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।