ছোট ছেলের বিয়েকে ঘিরে আনন্দমুখর পরিবেশ। ধুমধাম আয়োজনে শেষ হল গায়ে হলুদ। সকালে অর্থাৎ বিয়ের দিন মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন মা। গত বুধবার গায়ে হলুদ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউজান পৌরসভার দায়ার ঘাটায় অবস্থিত আল আমিন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন ছিল।
ছেলের বিয়ের আনন্দ মুহুর্তেই রূপ নেয় মায়ের মৃত্যুর বিষাদে। ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের কমর আলি সিকদার বাড়িতে। জানা যায়, রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের কমর আলি সিকদার বাড়ির প্রয়াত আলী আহমেদ সিকদারের ছোট ছেলে দুবাই প্রবাসী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক মাছুমের বিবাহ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এর আগে বুধবার রাতে ছেলের মেহেদী রজনীতে একসাথে ছিলেন মা ছকিনা বেগম। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে মারা যান মা। মুহুর্তে বিয়ে বাড়ির আনন্দ রূপ নেয় বিষাদের এক যন্ত্রণায়।
স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে বিয়ে বাড়ির পরিবেশ। কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শনে দেখা যায়, চারদিকে সুনসান নীরবতা। কয়েকজন খাবার পার্সেল করছেন। জানা যায়, ৫০০ মানুষের জন্য খাবার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে বরের মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে অনুষ্ঠান স্থগিত করে বরের বাড়িতে ২০০ মানুষের খাবার পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। বর মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকের বন্ধু শায়ের মাসুমুর রশিদ কাদেরী বলেন, ‘মুহুর্তেই বিয়ের আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে সংলগ্ন মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করে সন্ধ্যায় নববধূকে ঘরে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় বর ও কনেপক্ষ। বর আবু বক্কর ছিদ্দিক মাছুম সাংবাদিকদের বলেন, মা হঠাৎ করে চলে যাবেন বুঝতে পারিনাই। শরীর খারাপ লাগার কথা জানাতেই মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন। এদিকে গায়ে হলুদ রাতে মায়ের সাথে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।