অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে অ্যাডভান্সড ল্যাপারস্কপিক সার্জারি বিষয়ক কর্মশালা

গাইনি চিকিৎসায় এখন সহজ ও আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে দিনব্যাপী অ্যাডভান্সড ল্যাপারস্কপিক সার্জারি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার হাসপাতালের মিলনায়তনে কর্মশালায় ল্যাপারস্কপির মাধ্যমে করা কয়েকটি লাইভ সার্জারি প্রদর্শন করা হয়। এরমধ্যে একটি হচ্ছে জরায়ুর টিউমার সার্জারি (মায়েম্যাক্টমি), তিনটি সম্পূর্ণ জরায়ু সার্জারি বা ল্যাপারস্কপিক হিস্ট্যারেকটমি এবং আরেকটি হচ্ছে মূত্রাশয়ের সার্জারি বা সিস্টেকটমি। এসব সার্জারি সম্পন্ন করেছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহানারা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রোকেয়া বেগম এবং ডা. রেশমা শারমিন। কর্মশালায় প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি, পরিবর্তন ও ল্যাপোরোস্কপিক সার্জারির বিস্তারিত তুলে ধরে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থান করেন রয়েল কলেজ অব অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনিকোলজিস্ট (আরসিওজি) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফৌজিয়া হোসাইন। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. কামরুন্নেসা রুনা, অধ্যাপক ডা. শামসুন্নাহার, অধ্যাপক মেজর ডা. লায়লা আরজুমান বানু, অধ্যাপক ডা. জিনাত আরা নাসরীন ও অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার। দিনব্যাপী কর্মশালায় সারাদেশের শতাধিক প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সময়ের ব্যবধানে এখন গাইনি চিকিৎসায় আরও সহজ ও আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে ও অস্ত্রোপচার ছাড়া ওষুধের মাধ্যমে এক্টোপিক প্রেগনেন্সির চিকিৎসা, বিভিন্ন বয়সে ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার এবং অস্ত্রোপচারের হার কমানোর উপায় বের করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পরিবর্তন আসে। তখন তারা মানসিক বিষন্নতায় ভোগেন, কাজে মন বসে না, আনমনা হয়ে থাকেন। এ সময় তাদেরকে পরিবারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাপোর্ট ও সহযোগিতা দেয়া দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্রুত সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধসাজেকে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ