লোহাগাড়ায় লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় ৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে নিহত বৃদ্ধের পুত্র মিজানুর রহমান (২৬) বাদী হয়ে এই মামলা করেন। নিহত মাহমুদুল হক (৬৬) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলী সিকদার পাড়ার মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র। একইদিন রাতে লোহাগাড়ার পুটিবিলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে ঘটনার প্রধান আসামি মজিবুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র ও নিহত বৃদ্ধের ভাতিজা।
জানা যায়, মাহমুদুল হকের সাথে তার বড় ভাই মৃত মুহাম্মদ আলীর পরিবারের সদস্যদের বাড়ির পাশের একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন সকালে মুহাম্মদ আলীর দুই পুত্র মুজিবুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে চাচা মাহমুদুল হক স্থানীয় পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শাকিল ও মাঈন উদ্দিন লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে বৃদ্ধ মাহমুদুল হক গুরুতর আহত হন। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার মজিবুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।