চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযান জোরদার

নগরের ১৬ থানায় ১শ টহল টিম দায়িত্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে : সিএমপি

হাসান আকবর | বুধবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল টিমের সংখ্যা। নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় প্রায় ১শ টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। ৯৯৯ হয়ে আসা সংবাদসহ জরুরি পরিস্থিতিতে বাড়তি যোগান দেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাই টিমও আছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট কয়েকদিন আগে শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সিএমপিতে অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দাগী ডাকাত এবং ছিনতাইকারী রয়েছে জানিয়ে নগর পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ রাতে ঘুমাচ্ছে না। সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী এবং চোরডাকাতদেরও ঘুমাতে দেওয়া হবে না।

দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মাঝে সরকার অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা এই অপারেশনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো নগরীর ১৬ থানা এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। তবে দেশের কয়েকটি বড় অপরাধমূলক ঘটনার পর যৌথবাহিনীর অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ছিনতাই, ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। রাতে বাইরে গিয়ে কেউ যাতে ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের কবলে না পড়ে সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মূল সড়কের পাশাপাশি রাতভর থানাগুলোর অলিগলিতেও যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। থানার ওসিদের রাতভর রাস্তায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র অফিসারদের অনেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। গেল এক সপ্তাহে নগরীতে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারী এবং ডাকাতসহ ১১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি বিদেশি পিস্তলসহ অস্ত্রশস্ত্র।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এসপি) মাহমুদা বেগম সোনিয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। প্রতিদিনই ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুসারে যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে নতুন মাত্রা আনা হয়েছে।

সিএমপির একাধিক থানার ওসি গতকাল জানান, তারা রাতে ঘুমানো ছেড়ে দিয়েছেন। পুরো রাত রাস্তায় থাকেন। সকালে হোটেলে নাস্তা করে বাসায় ফিরছেন। একজন ওসি বলেন, আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না। তাই সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী এবং চোরডাকাতসহ অপরাধীদেরও ঘুমাতে দেব না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারের চেয়ে রাজপথে বেশি ভূমিকা রাখতে পারব
পরবর্তী নিবন্ধবর্তমান স্বামীর হামলায় সাবেক স্বামী নিহত