ছয় জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে থাকা যে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাদের মুক্তি দিতে দেরি হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পরিকল্পনা স্থগিত থাকবে। খবর বিডিনিউজের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ফিলিস্তিনি পতাকা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বানচালের চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ধাপের সব খুঁটিনটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলের সরকার এখন পর্যন্ত আলোচনাতেই বসেনি। রোববার দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পরিকল্পনা স্থগিত থাকবে। শনিবার ৪২ দিন মেয়াদী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে দুই পক্ষ আগে নীতিগতভাবে একমত হলেও আলোচনা ছাড়া তা চূড়ান্ত হবে না। আমাদের বিশ্বাস, এটি ইসরায়েলের ডানপন্থি সরকারের আরেকটি নোংরা খেলা, যা চুক্তি বানচাল ও দুর্বল করতে এবং যুদ্ধের পথে ফিরে যাওয়ার বার্তা দিতে চায়, শনিবার আল জাজিরাকে এমনটাই বলেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাইম। তার ভাষ্যের একদিন পর ইসরায়েল ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তিও পিছিয়ে দেয়। অথচ চুক্তির প্রথম ধাপের শর্ত অনুযায়ী শনিবার ৬ ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে তাদের ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তেল আবিব এখন বলছে, অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত এ ৬২০ ফিলিস্তিনিকে ফেরত পাঠানো হবে না। জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগে তাদের অনেক লোকজনের সামনে মঞ্চে ওঠানো হচ্ছে, রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের আগে কখনো কখনো তাদের দিয়ে বক্তব্যও দেওয়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ নিহত জিম্মিদের কফিনগুলোও ভিড়ের মধ্য দিয়ে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব নিয়েই আপত্তি তুলেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘও জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তরে হামাস শ্রদ্ধাশীল ছিল না জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।