বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। একুশ আমাদের চেতনা, বিশ্বাস ও বিজয়ের অঙ্গীকার। আমরা জানি, মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি–এই তিনটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের জীবন এবং আমাদের অস্তিত্ব। একুশের বীণায় ঝংকৃত হয়েছে বাংলাভাষা সাহিত্য–সংস্কৃতি। আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশে একুশ একাধারে ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গৌরবগাঁথা ও প্রেরণা। আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে পেরেছি। একুশের পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই মহান একুশ এদেশের ইতিহাসে ‘আপোষহীন সংগ্রাম ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। একুশ হোক আমাদের সকল অনৈক্য, সংঘাতের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ হাতিয়ার, আমাদের উন্নয়নের আশার প্রদীপ, আমাদের সচেতনতা, শিক্ষা ও উন্নয়নের আলোকবর্তিকা। একুশের এই চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের চেতনাকে আরো শাণিত করতে হবে। তাই একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ–সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, মো. মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, মো. নাছির উদ্দিন, দিল মো. মনজু, ফরিদুল আলম মিল্টন, ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।