লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমানে প্রশাসনের যেভাবে কাজ করা উচিত সেভাবে করছেনা। কারণ হাসিনার দোসররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বসে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে বের না করা পর্যন্ত প্রশাসন সোজা হবে না। আগে তাদেরকে বের করতে হবে। আর এখন জেলে বসে বসে যারা মুরগি এবং ডিম খাচ্ছে তাদের এসব খাবার বন্ধ করতে হবে। পনের বছর খেয়েছে। এখন শাক–সবজি খাওয়াতে হবে। আর প্রতিদিন সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে গিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার করতে হবে। এগুলো জনগণের টাকা, তাদের বাপের টাকা নয়। তাদেরকে ছাড় দেয়া যাবেনা।
তিনি গত শুক্রবার রাতে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়ন এলডিপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ আরো বলেন, শেখ হাসিনা জামাইয়ের কাছে চলে গেছে। বুড়োর হাত ধরে পালিয়েছে। কিন্তু যাওয়ার আগে দেশকে দোজখে পরিণত করে গেছে। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, অলি আহমদের বড় ছেলে ও এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক সানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি এম এয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, গণতান্ত্রিক যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক লায়ন আহমদ নবী, সাতকানিয়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি মাহমুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন।
কালিয়াইশ ইউনিয়ন এলডিপির সভাপতি হোসেন উদ্দিন আহমদ ভুট্টোর সভাপতিত্বে ও উত্তর সাতকানিয়া গণতান্ত্রিক যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাব্বার মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুল আলম, চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আইনুল কবির, দোহাজারী পৌরসভা এলডিপির সভাপতি লিয়াকত আলী, এলডিপি নতা মোঃ নুরুন্নবী, জাফর আহমদ, রিয়াদ কামাল, আনিছুর রহমান সিকদার, জসিম উদ্দিন, মোঃ সেলিম উদ্দিন, আবদুল আজিজ, মোঃ শাহ আলম কন্ট্রাক্টর, লোকমান হাকিম ও নুরুল হক নুরু।