চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মুরাদপুর গুলিয়াখালী এলাকার উপকূল থেকে জেলে রাম দাস নামক স্থানীয় এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করাকালে রামদাসকে মাথায় আঘাত করে সাগরে ফেলে দেয় বালু উত্তোলনকারী। পরে পরিবারের লোকজন সাগরে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকালে তার লাশ সাগর তীরে ভেসে উঠে। নিহত রামদাস উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের জেলে পাড়ার শীতল জলদাসের ছেলে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে গাউছিয়া কমিটির সহায়তায় রাম দাসের লাশটি উদ্ধার করেন।
জানা যায়, সকালে জেলেরা মাছ শিকার করতে বের হলে গুলিয়াখালী সাগর পাড় থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগর পাড়ে রামদাসের লাশ সাগর উপকূলে ভাসতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে গাউছিয়া কমিটির সহায়তায় নৌ-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে নিহত রামদাসের চাচাতো ভাই প্রেমদাস জানান, সাগরে ফেলে দেওয়া রামদাসের লাশ শুক্রবার সকালে গুলিয়াখালী এলাকার সাগরে ভেসে উঠলে জেলেরা তার লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে সীতাকুণ্ড থানার (ওসি) মোঃ মজিবর রহমান বলেন, এদিন শুক্রবার সকালে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগর উপকূল থেকে সাগরে নিখোঁজ হওয়া জেলে রাম দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য (১৭ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুরে বাড়বকুণ্ড সাগর থেকে বালু উত্তোলনের সময় জেলেদের জাল কেটে ফেলায় প্রতিবাদ জানাতে যায় স্থানীয় জেলে পাড়ার শীতল জলদাসের দুই ছেলে রামদাস ও তার ভাই লিটন দাস। প্রতিবাদ জানানোর সময় বালু উত্তোলনকারী চক্রটি দুই ভাইকে বালু বহনকারী বাল্কহেডে তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে রামদাসের মাথায় আঘাত করে তাকে সাগরে ফেলে দেয়। এতে রামদাস সাগরে তলিয়ে যায়। এ সময় তার ভাই লিটন দাস ফোন করে অন্যান্য জেলেদের অবহিত করলে তারা সাগরে গিয়ে ড্রেজার বসানো জড়িত ৬ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
অন্যদিকে নিহতের ভাই লিটনকে অপহরণ করে হাতিয়া নিয়ে যায় বাল্কহেডে থাকা দুস্কৃতিকারীরা। পরে হাতিয়া থেকে লিটন দাস কে উদ্ধার করে পুলিশ।