‘পাহাড়খেকো’ খ্যাত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম আত্মগোপনে আছেন; এমন খবরে নগরের একে খান মোড় সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এর আগে ভবনটি ঘেরাও করে রাখে জনতা। তবে তল্লাশি চালালেও পাওয়া যায়নি জসিমকে। গতকাল সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলবাহার টাওয়ার নামে ১৪ তলা ভবনটিতে জহুরুল আলম জসিমের নিকাটাত্মীয়ের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে ভবনটিতে আত্মগোপনে আছেন জসিম। এরপর স্থানীয় লোকজন ভবনটি ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। রাত ১১টা পর্যন্ত তল্লাশি চালালেও হদিস মিলেনি জসিমের। তবে ভবনটির পার্কিংয়ে জসিমের গাড়ি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের উপরে ফ্ল্যাটের বাইরে ও ভেতর থেকে তালা লাগানো ছিল। গুঞ্জন ছিল ওই ফ্ল্যাটে লুকিয়ে আছেন জসিম। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও না খোলায় এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালান। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর অন্য ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযান শেষে নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ–কমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন, প্রাথমিক একটি তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গোলবাহার টাওয়ার নামের ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা সবদিক দেখার পরও ভবনে সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের খোঁজ পাইনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে আমরা আরো খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
জানা গেছে, গতকাল রোববার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে জসিমের ছোট ভাই আলমগীরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আকবরশাহ থানা–পুলিশ। আলমগীরের দেয়া তথ্যে বাসাটিতে অভিযান চালিয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, জসিমের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানা এলাকায় পাহাড় কাটার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ওপর হামলার ঘটনায়ও তাঁর বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় মামলা আছে।