নগরীর পাহাড়তলী থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নগর বিএনপির সাবেক সদস্য মো. মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেনের আদালতে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কিং আলী থানায় নির্যাতন, কোটি টাকা চাঁদা দাবি এবং মালামাল লুটের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ, এসআই মানিক ঘোষ, বন্দর থানার এসআই মো. আসাদুল হক, কিশোর মজুমদার, খাতুনগঞ্জের এস এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ–ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বখতেয়ার উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত বছরের ১০ অক্টোবর বন্দর থানার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করে ২০ হাজার টন পাথর ক্রয় করেন কিং আলী। ক্রয়কৃত পাথর তিনি পাহাড়তলীর টোল রোডে থাকা কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে নিয়ে রাখেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর আসামিরা উক্ত ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সাথে দেখা করতে বলেন। বাদী সন্ধ্যায় ওসির কাছে গেলে পাথর ক্রয়ের রশিদ ও বাদীর সকল জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু বাদী অসম্মতি জানিয়ে থানা ত্যাগ করেন। ওইদিন রাত ১০টার দিকে এসআই মানিক ঘোষ দ্রুত থানায় গিয়ে চাঁদার টাকা দিতে বলেন। একইসাথে বাদীর করা আগের একটি মামলা থেকে হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব চৌধুরীর নাম বাদ দিতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে থানায় আটকে অজ্ঞাত তিন পুলিশকে দিয়ে মারধর করেন। সারারাত নির্যাতন করায় বাদী অজ্ঞান হয়ে যান। পরদিন তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরজিতে আরো বলা হয়, আসামিরা গত বছরের ২৪ অক্টোবর বাদীর ডিপোর সামনে ৩০টি ট্রাক নিয়ে কেয়ারটেকারকে মারধর করেন এবং ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার পাথর, মাটি, ১০ লাখ টাকার স্কেলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেন। বাদী ৪৯ দিন হাজতে থাকার পর জামিন পেয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। এ সময় ওসি বাবুল আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর এবং খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ অক্টোবর কিং আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
