টিসিবির ট্রাকসেলে পণ্যের জন্য হুড়োহুড়ি

প্রতি ট্রাকে দেয়া হচ্ছে ২০০ জনের পণ্য

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ এক মাস টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকার পর ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রি শুরু হলেও প্রতি ট্রাকে পণ্য দেয়া হচ্ছে মাত্র ২০০ জনের। যা উপস্থিত ক্রেতাদের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। যার কারণে নগরীতে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকেই পণ্য নেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের হুড়োহুড়িকাড়াকাড়ি এবং হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটছে। চট্টগ্রামে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড অ্যাক্টিভ না হওয়ায় গত একমাস (গত জানুয়ারি মাসে) টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি বন্ধ ছিল। গত সোমবার থেকে টিসিবির ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রি আবার শুরু হয়েছে। তবে প্রতি ট্রাক পণ্য দেয়া হচ্ছে মাত্র ২০০ জনের।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জামালখান মোড়, টাইগারপাস এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্পটে গিয়ে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাক আসার আগে থেকেই ওইসব এলাকায় শত শত মানুষ টিসিবির পণ্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু টিসিবি ট্রাকে পণ্য আছে মাত্র ২০০ জনের। যার কারণে ট্রাক আসার সাথে সাথেই ক্রেতাদের মাঝে শুরু হয়ে যায় পণ্য নিয়ে কাড়াকাড়ি। তীব্র রোদে দীর্ঘক্ষণ টিসিবির ন্যায্য মূল্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে শত শত মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই টিসিবির ট্রাক ডিলারদের সাথে ঝগড়ায়ও মেতেছেন। এ সময় পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়া সাধারণ মানুষগুলো টিসিবির পণ্য বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ একটি ট্রাকে মাত্র ২০০ জনের পণ্য এটা একেবারেই নগণ্য।

এই ব্যাপারে টিসিবির চট্টগ্রাম অফিস প্রধান (যুগ্ম পরিচালক) মো. শফিকুর ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমিও দেখতে পাচ্ছি টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে পণ্যের জন্য সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু আমারও তো কোনো উপায় নেই। আমার কাছে অর্ডার আছে প্রতি ট্রাকে ২০০ জনের জন্য। আমি চাইলেও বেশি দিতে পারবো না। এটা কর্তৃপক্ষ না চাইলে হবে না। আমাদেরকে যেভাবে অর্ডার দেয়া হয়েছে আমরা সেইভাবেই পণ্য দিচ্ছি। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড চালু না হওয়া পর্যন্ত এভাবে ট্রাকসেল চলমান থাকবে বলে জানান মো. শফিকুর ইসলাম।

টিসিবির ট্রাক ডিলাররা জানান, আমাদেরকে প্রতিদিন ২০০ জনের পণ্য দেয়া হয়। কিন্তু আমরা যেখানে যাই সেখানে আগে থেকেই পণ্যের জন্য শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। এত মানুষের মাঝে আমরা ২০০ জনের পণ্য কাকে দেব? এটা কেউ বুঝতে চায় না। বিষয়টি টিসিবির বোঝা উচিত।

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরীর ২০টি পয়েন্ট ডিলারদের মাধ্যমে ক্রেতাদের মাঝে ৬০ টাকা দামে মসুর ডাল, ৭০ টাকা দামে চিনি, ১০০ টাকা দামে সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা দামে ছোলা এবং ১৪৫ টাকা দামে খেজুর (৫০০ গ্রাম করে) বিক্রি করছে। প্রতি প্যাকেজ মূল্য ৫৮৮ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেলের জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রককে মারতে গেলেন উচ্চমান সহকারী
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রীর হাতে চবির সহকারী প্রক্টর লাঞ্ছিত