চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত বলেছেন, শিশু–কিশোরদের গড়ে তুলতে হবে আনন্দের মাধ্যমে। শিশুদের কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করতে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। শিশুর স্বভাবসুলভভাবে বেড়ে ওঠার পথ যেন রূদ্ধ না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাদের বহুমুখী প্রতিভা বিকাশে সুযোগ করে দিতে হবে। শিশুর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার নাম শিক্ষা নয়। রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আনন্দহীন শিক্ষা, শিক্ষা নয়, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই সে শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না’। অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে একাডেমির জীবন ও পৃষ্ঠপোষক সদস্য কবি শিশুসাহিত্যিক চিকিৎসক সরওয়ার কামাল পাশার কিশোর উপন্যাস ‘চুমকি’র প্রকাশনা উৎসবে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত এক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস ‘চুমকি’। ছোট্ট এক পোষা অকুতোভয় বাজপাখি মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস যুগিয়েছিল তারই কাহিনী ‘চুমকি’। লেখক সরওয়ার কামাল পাশা– মুক্তিযোদ্ধা মামার জবানিতে ডায়রি আকারে সুন্দরভাবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে চিত্রায়িত করেছেন।এ ধরনের গ্রন্থ শিশু–কিশোরদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে পারে।
দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক কবি রাশেদ রউফের পরিচালনায় এতে আলোচক ছিলেন শিশুসাহিত্যিক ইফতেখার মারুফ, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু ও হাবিব ফারুকী।
স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর মিঞা। লেখকের পরিচিতি তুলে ধরেন আবৃত্তিশিল্পী তটিনী বড়ুয়া। লেখকের লেখা থেকে পাঠ করেন মলিনা মজুমদার, সূচিত্রা বৈদ্য, যেবা সামিহা। বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, কবি শারুদ নিজাম, রজাউল করিম স্বপন, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, ইকবাল হায়দার, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, ডাক্তার সাবরিনা মেহের, ডাক্তার তনিমা রায়, ইঞ্জিনিয়ার হান্নান, শাহরিয়ার হান্নান, ইমরুল কবির চৌধুরী, ইসমাইল জসীম, লিটন কুমার চৌধুরী, কানিজ ফাতিমা, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, রাজিউর রহমান বিতান, তানভীর হাসান বিপ্লব কানিজ ফাতেমা লিমা প্রমুখ। পরে শিশুসাহিত্যিক সরওয়ার কামাল পাশার হাতে সুহৃদ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রফেসর রীতা দত্ত। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।