চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের সামনে নৌকা প্রতিকৃতি ও হলের নামফলক ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ভাঙতে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলটির ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক রেদওয়ান আহমদকে মারধর এবং এস এম মাহফুজের ফোন কেড়ে নেন ছাত্রীরা। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের সামনে ও ভিসির বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে বিচারের দাবিতে অভিযোগ দিয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এমন আক্রমণ ও হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে চবি সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। বিচার দাবিতে প্রক্টরকে একটি অভিযোগও দেয় সাংবাদিক সমিতি।
জানা গেছে, বুধবার রাতে কিছু ছাত্র শেখ হাসিনা হলের সামনে থাকা হাসিনার ম্যুরাল ও নৌকা ভাঙতে যায়। সেখানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরাও উপস্থিত হয়। মেয়েরা হলের পশ্চিম দিকের গেইট ভেঙে শেখ হাসিনার ম্যুরাল এবং নৌকা প্রতীক ভাঙতে বাধা দিয়ে ছাত্রদের ইট–পাটকেল ছুঁড়তে থাকলে একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সরে যায়। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি–ভিডিও ধারণ করলে ছাত্রীরা তাদের বাধা দেন। সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, তাদের মারধর, গালিগালাজ, ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক অনিন্দিতা সরকার প্রথা বলেন, গতকাল (বুধবার) শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, সাংবাদিকদের কিছু ছাত্রী হেনস্তা করেছে। আমরা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এ ঘটনায় ছাত্রীদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।