বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণহত্যার দায়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ২৪’র জুলাই–আগস্টের আন্দোলনেই দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। আহত হয়েছেন হাজারও ছাত্র–জনতা। এছাড়াও বিগত ১৬ বছরে বিএনপির লাখ–লাখ নেতাকর্মী দলটির নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজন্য গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার হাসিনাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
তারেক রহমান গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফেনীর সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
২০১৬ সালের ২৫ জুন র্যাবের গুলিতে নিহত মাহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে শহিদ হওয়া ৪৫ জনের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দিতে এ আয়োজন করা হয়।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কিছু মানুষ সংস্কার–সংস্কার করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, অথচ যখন স্বৈরাচারী সরকার গুলির জোরে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল, তখন একমাত্র বিএনপিই সংস্কার চেয়েছিল। তাই, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সংস্কারের কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সমাবেশের আগে তারেক রহমান সোনাগাজীতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম–আহ্বায়ক মাসুদের পরিবারের জন্য নির্মিত ঘর উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম–মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, জয়নাল আবেদিন ফারুক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম।