চট্টগ্রাম–১৫ আসনের সাবেক সাংসদ এম এ মোতালেবসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৭৯ জন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ। তিনি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত রাজা মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ এলাকায় সড়কে মশাল মিছিলের প্রস্তুতিকালে হামলার শিকার হন মো. হারুনুর রশিদ। এ ঘটনায় তিনি ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০–৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই জসিম উদ্দিন মন্টু, আবু রেজা নদভীর ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিম, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আমানুর রশিদ হিরু, উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওচমান আলী, ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন টিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, হাকিম আলী, নেজাম উদ্দিন, আবু সুফিয়ান সুমন, সালাউদ্দিন, আবুল হোসেন, মো. ইউসুফ, ইমতিয়াজ, মো. হেলালুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মঈনউদ্দিন, মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আকতার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. ইমতিয়াজ, ফরিদুল আলম, আবদুল্লাহ আল ফাহিম, নাজিম উদ্দিন, মো. খোরশেদ আলম এরশাদ ও মো. গফুর উল্লাহ।
মামলার বাদী মো. হারুনুর রশিদ জানান, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামিরা ধারালো অস্ত্র, লাটিসোটা, হকিস্টিক সহকারে ঘটনাস্থলে এসে কয়েক দফা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর প্রথমে আমাকে বেড়ধক পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আমাকে বাঁচানোর জন্য ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন রুবেল ছুটে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।