চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শেডের আঙিনায় কেটে স্ক্র্যাপ করা সেই ৭৪ গাড়ি কেজি দরে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখায় প্রতিকেজি স্ক্র্যাপের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৪ টাকা। জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৫৮টি লটে ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য প্রতি টনের সংরক্ষিত মূল্য ধরে ৫৩ হাজার ৪৮৮ টাকা। কিন্তু নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার গোল্ডেন ইস্পাত লিমিটেড সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। নিলামে অন্তত চট্টগ্রামের ১৫টির বেশি রি–রোলিং মিল অংশ নেয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে অকশন শেডের আঙিনায় মোট ১৮২টি গাড়ি আছে। এরমধ্যে ৬১টি গাড়ির বিষয়ে মামলা রয়েছে। বাকি ১২১টি গাড়ি ধ্বংসের জন্য বিআরটিএ থেকে অনাপত্তিপত্র পায় চট্টগ্রাম কাস্টমস। গত বছরের জুনে এরমধ্যে অধিকতর যাচাই বাছাই করে ৭৪টি গাড়ি স্ক্র্যাপ হিসেবে কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং কাটাও হয়। তবে সে সময় একটি প্রতিষ্ঠান কাস্টমসে গাড়িগুলো ৮০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব দেয়। তবে কাস্টমস কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমসের আইন অনুযায়ী নিলাম অযোগ্য পণ্য এভাবে বিক্রির সুযোগ নেই। তাই তাদের সেই আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাকিব হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ৭৪টি কাটা গাড়ি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির জন্য প্রকাশ্যে নিলাম করা হয়েছে। এখন নিলাম কমিটি যাচাই–বাছাই অনুমোদনের পর বিক্রি আদেশ জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।