চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত ইকুইপমেন্টসহ সিসিটি, এনসিটি টার্মিনাল ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার আত্মঘাতি ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী মহানগরী আমীর আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। গতকাল সোমবার দেওয়ানবাজারস্থ ইসলামিক একাডেমি–বিআইএ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মহানগরী জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘ ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এম এ গফুর, আবু তালেব প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মো. হেলাল উদ্দিন, মো. ইয়াছিন, মুজাহিদুল ইসলাম আদনান, আবুল বশর, মো. ওমর ফারুক, মো. শাহ আলম, রেজাউল করিম সেলিম, মো. আমানুল্লাহ প্রমুখ।
সভায় আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সিসিটি ও এনসিটি নতুন নির্মিত কোন টার্মিনাল নয়। বর্তমানে এখানে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগের কোন সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। অত্যাধুনিক কইন্টেনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট দ্বারা সুসজ্জিত ও সাফল্যের সাথে পরিচালিত সিসিটি ও এনসিটি থেকে গত অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে আগের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন রের্কড সৃষ্টি হয়েছে।
আশাতীত সাফল্যের পরও দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মচারীর রুটি রুজির এই বন্দরের প্রাণ–স্পন্দন সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনাল স্বার্থান্বেষী মহলের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলে এই বন্দরকে মাফিয়া ব্যবসায়িদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। বন্দরের সকল শ্রেণি পেশার শ্রমিক–কর্মচারীদের নিয়ে সিসিটি ও এনসিটি প্রাইভেটাইজেশন দেওয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।