আমাদের দেশে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা দিন–রাত কঠোর পরিশ্রম করে ভালো ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করে। অথচ অনেকেই পরিশ্রম ছাড়াই ঘুষ, সুপারিশ বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সাফল্য পায়। অনেকে চাকরি পাওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেয়, যা পরে তারা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে আদায় করে নেয়। এই প্রবণতা শুধু ব্যক্তিগত নৈতিক অবক্ষয়ই নয়, বরং জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন ও সুশিক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি।
প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার সময় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের বিভিন্ন গ্রুপে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রতারিত হয়, আবার কখনো সঠিক প্রশ্নপত্র পেয়ে থাকে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সরকারকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা জরুরি।
মোহাম্মদ ছরোয়ার
শিক্ষার্থী,
সরকারি আলাওল কলেজ, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।