পটিয়ায় মা–বাবার সামনেই রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মোহাম্মদ আহিল উদ্দিন নামে ৫ মাস বয়সী এক শিশু পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। স্পিড ব্রেকারে ঝাঁকুনি খেয়ে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ার পর একটি চাল বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশুটি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা জান্নাতুল ফেরদৌসও। তার দুই পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। আশঙ্ক্ষাজনক অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত শিশু আহিল পটিয়া পৌর সদরের দক্ষিণ গোবিন্দারখীল ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদ জুবায়েরের পুত্র। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পটিয়ার বিওসি রোড রেলস্টেশন সংলগ্ন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসার (পটিয়া মাদ্রাসা) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি দ্রুত গতির ব্যাটারি রিকশা মাদ্রাসা গেইটের সামনে স্পিড ব্রেকার অতিক্রম করতে গিয়ে জোরে ঝাঁকুনি খেলে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় আহিল। এসময়ও মাও ভারসাম্য হারিয়ে রিকশা থেকে পড়ে যান। এসময় বিপরীতমুখী চাল বোঝাই একটি ট্রাক ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে মা ও শিশুটিকে চাপা দেয়। এতে মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু আহিল। পথের পাশেই তার লাশ কোলে নিয়ে পিতা জুবায়েরের নির্বাক হয়ে বসে থাকার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে।
জুবায়েরের ভাই ও নিহত শিশুটির চাচা মোহাম্মদ আশেক জানান, দুই শিশু পুত্র মোহাম্মদ আয়াত (৭) ও পাঁচ মাস বয়সী মোহাম্মদ আহিলকে নিয়ে মা জান্নাতুল ও বাবা জুবায়ের পটিয়া সদরের একটি হাসপাতালে আহিলকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্য পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করা করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, এ ঘটনায় চাল বোঝাই ট্রাকটি স্থানীয়রা আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ট্রাক ও চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।