‘মোরা ঝর্ণার মতো চঞ্চল, মোরা প্রকৃতির মতো সচ্ছল’ প্রতিপাদ্যকে সাথে করে ফুলকির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় শিশু–কিশোরদের জন্য শুরু হয় পাপেট তৈরি, ছাপচিত্র ও তাঁত বুননের কর্মশালা। ৯–১৬ বছর বয়সী প্রায় ৯০ জন শিশু–কিশোর এ কর্মশালায় যোগদান করে। পাপেট তৈরির কর্মশালা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অরূপ বড়ুয়া। ছাপচিত্র কর্মশালা পরিচালনা করেন সোনারতরীর শিক্ষক মাধবী রাণী নাথ। এছাড়াও তাঁত বুনন কর্মশালা পরিচালনা করেন বান্দরবান থেকে আগত অংজাই উই চাক, এলি মারমা ও আংগামে চাক। পাশাপাশি চলচ্চিত্র নিয়ে সৈকত দে তার কথামালা নিয়ে মিলনায়তে বলেন চলচ্চিত্র নিয়ে বোদ্ধার কথা। প্রথমপর্ব দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত চলে।
দ্বিতীয় পর্বে বেলা ৩টায় শুরু হয় মুক্তাঙ্গণে বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনী। ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয় ও আনন্দবিজ্ঞান প্রকল্প এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে আমন্ত্রিত বিদ্যালয় স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন, স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন, উপলব্ধি ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে। এরপরই ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হয় আগত অভিভাবক ও শিশুকিশোররা। সন্ধ্যে ৭টায় হয় পাপেট শো। সবশেষে মিলনায়তনে ফুলকির গল্পরাজ্য প্রকল্পের গল্পের আসর। উল্লেখ্য, আজ শেষদিন সন্ধ্যায় ছোটদের জন্য গান পরিবেশন করবে সঙ্গীত সংগঠন রক্তকরবী। উৎসবের সমাপ্তি হবে ঢোলকবাদক শিবু দাস ও তার দলের ঢোল বাদনের মধ্য দিয়ে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।