বিপিএলের সবচাইতে মিতব্যয়ী বোলিং শরীফুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলে নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন পেসার শরীফুল ইসলাম। একের পর এক ম্যাচের হতাশা পেরিয়ে অবশেষে তিনি ফিরলেন আপন রূপে। এতটাই দুর্দান্ত এই ফেরা যে, চিটাগাং কিংসের বাঁহাতি পেসারের নাম খোদাই হয়ে গেল বিপিএলের রেকর্ডে। মিরপুরে গত বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শরিফুল ইসলামের বোলিং বিশ্লেষণ ৩.৪। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে এত কম রানে ৪ উইকেটের নজির নেই আর। শরিফুল পেছনে ফেলেন মোহাম্মদ সামি ও নাহিদুল ইসলামের যৌথ রেকর্ড। এমন ক্ষুরধার বোলিং ও এতটা মিতব্যয়ী পারফরম্যান্সে আভাস শুরুতে ছিল না। ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে তার প্রথম শিকার ছিল জাওয়াদ আবরার। বিপিএল অভিষেকে তরুণ ওপেনার বল টেনে আনেন স্টাম্পে। নতুন ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ওই ওভারেই মারেন একটি বাউন্ডারি। এরপর আবার তাকে আক্রমণে আনা হয় পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। এবার ওভারের প্রথম বলেই স্লগ করে বোল্ড হন রনি তালুকদার। বাকি পাঁচ বলে আর রান নিতে পারেননি জাকের আলি। লেগ বাই থেকে আসে একটি রান। যেটির মানে মেডেন ওভার। একটু পুরোনো বলে শরিফুল আরও বিধ্বংসী হয়ে ফেরেন ত্রয়োদশ ওভারে। এবার ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি বিদায় করেন জাকেরকে। এক বল পর তার শিকার তানজিম হাসান সাকিব। জোড়া উইকেটের ওই ওভারে একটি রান নিতে পারেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। পরে আবার যখন বোলিং পান তিনি, সিলেটের শেষ জুটি তখন ক্রিজে। টিটোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট শিকারের হাতছানি তার সামনে। তবে সেই সম্ভাবনা শেষ করেন নিজেই। ওভারের দ্বিতীয় বলে নিজের বলে ফিল্ডিং করে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে দিন তিনি সুমন খানকে। ৫ উইকেট না হলেও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও রেকর্ডগড়া পারফরম্যান্সই ঠিকই দেখান তিনি। রেকর্ডটি শুরুতে ছিল মোহাম্মদ সামির। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে। বিপিএলে এখনও সেটি সবচেয়ে মিতব্যয়ী ৫ উইকেটের রেকর্ড। পরে ২০২৩ আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম।

চলতি বিপিএলেই ৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করে রেকর্ডে এরপরই আছেন ফরচুন বরিশালের ফাহিম আশরাফ। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে ৪ উইকেটের বিশ্বরেকর্ডটির জন্য অবশ্য আরও নিখুঁত হতে হবে। ১ রানে ৪ উইকেটের কীর্তিও যে আছে দুটি। আইসিসির সব সহযোগী দেশ টিটোয়েন্টি মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে বিচিত্র যেসব রেকর্ডের ছড়াছড়ি, সেটির অংশ এই রেকর্ডও। ২০২২ সালে তুরস্কের বিপক্ষে ১ রানে ৪ উইকেট নেন সাইপ্রাসের পেসার চামাল সাদুন। ওই বছরই পরে একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করেন সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে তাঞ্জানিয়ার বাঁহাতি স্পিনার ইয়ালিন্ডে এনকানিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ের চিৎমরম উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি