১ ফেব্রুয়ারিতে থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতে চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার দাবি তুলে এই বিধি–নিষেধ প্রত্যাহার করে পর্যটক যাতায়াত উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও দ্বীপবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট এলাকায় এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি স্থানীয় হোটেল–মোটেল ও কটেজ মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার–টুয়াক, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি, সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, ভ্যান গাড়ি মালিক–শ্রমিক সমিতি এবং বাজার ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ী সমিতিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কয়েকশ লোক অংশগ্রহণ করেন।
এতে বক্তারা বলেন, চলতি পর্যটন মৌসুমে সরকারি বিধি–নিষেধের কারণে পর্যটক যাতায়াত সীমিত থাকায় এমনিতেই দ্বীপবাসী নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে দ্বীপবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। তার ওপর দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষা করে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সরকারি নির্দেশনা বহাল রাখায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে দ্বীপবাসী। তাদের জীবন–জীবিকার কথা বিবেচনা করে সরকার যেন অন্তত ফেব্রুয়ারি মাসে জাহাজ চলাচল চালু রেখে পর্যটক যাতায়াতের অনুমতি দেয়।
মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, টুয়াকের সদস্য আকতার নুর, আইনজীবী ও সমাজকর্মী কেফায়েত উল্লাহ খান, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী নুর মোহাম্মদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ খান, হোটেল–মোটেল ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন ও ব্যবসায়ী নাসরিন আক্তার।
এ বিষয়ে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, দ্বীপের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সকলকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণের শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বীপটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এটি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও এ পর্যন্ত সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি।