জামিন পেয়ে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি বলেছেন, গত চার বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরে তিনি আদালতে এসেছেন কেবল ন্যায়বিচার পাওয়ার বিশ্বাস নিয়ে। বিশ্বাসের যেন জয় হয় সেই প্রত্যাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বলেও জানিয়েছেন পরীমনি।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মাথায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে গতকাল সোমবার জামিন পান পরীমনি। সকালে জামিন আবেদন করলে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মোহাম্মদ জুনায়েদ তা মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জামিন নিয়ে পরীমনি বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল এখানে ন্যায়বিচার পাব। আমি এখান থেকে আশাহত হতে চাই না। আমি চাই শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হোক। খবর বিডিনিউজের।
এদিন সকাল ১০টার দিকে আদালত চত্বরে আসেন পরীমনি। সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়। এ সময় এজলাসের পেছনে একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন পরীমনি, পরে তাকে আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলেন বিচারক। এরপর পরীমনির পক্ষে নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আইনজীবী সুরভী বলেন, গতকাল মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ছিল। পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। চার্জ গঠন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ (সোমবার) আত্মসমর্পণ করেছেন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
এরপর বিচারক জুনায়েদ বলেন, আশা করছি, সবাই কোর্টের ডিগনিটি রক্ষা করবেন। কোর্টকে বিতর্কিত করবেন না। মামলাটা জামিনযোগ্য ধারার। আসলেই জামিন পাবেন বিষয়টা এমন নয়। বিচারাধীন বিষয়ে এভাবে আগে কথা বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
পরীমনির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারক জুনায়েদ বলেন, আপনি কোর্ট অফিসার। এ বিষয়গুলো ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন। পরে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।
পরীমনি বলেন, আপনারা সবাই তো জানেন আমি একটা মামলা করেছিলাম এর আড়াই বছর পরে তিনি (নাসির) একটা মামলা করেন। যে মামলার জন্য গতকালকে (রোববার) আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আমার খুব বিশ্বাস ছিল আমি আজকে জামিন নিতে আসব এবং জামিন পেয়ে যাব। আপনারা সাহস যুগিয়েছেন। আমি জামিন পেয়েছি। আপনাদের এত ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি। এটা খুবই পরিষ্কার যে আমি একটা মামলা করলাম তার ঠিক আড়াই বছর পরেই একটা মামলা করা হল শুধু আমাকে দামানোর জন্য। এই মামলাটি বিচারাধীন। পরীমনি বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন ‘সুবিচার পাবেন’।












