সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বাংলাদেশের পলিমাটিতে না শুধু, এমনকি বহুতল ভবনের কংক্রিট ছাদের কোন ফাঁকে বা ফাটলে কোনক্রমে কখনো কোনো বট বা অশবত্থের বীজ স্থান পেলেও যেমন সেই বীজ একসময় ছড়াতে শুরু করে শিকড়; আর একবার শিকড় ছড়াবার পর, বাড়তেই থাকে তা কেবল, অবস্থা হয়েছে দেখছি তেমনি আমারও!
আজ সকাল সকাল অফিসে এসে নিজের রুমে যাওয়ার পথে আমার রুমে উঁকি দিয়ে এইচ আর হেড গিউসি এইমাত্র জানাল যে–এ বেলা যদি আমার কোন মিটিং থেকে থাকে, তবে পিছিয়ে ঠেলে দিতে হবে তা বিকেলে । ঠিক দশটায় সে আমাকে নিয়ে একটা এক্সপাট কমপাউন্ডে যেতে চায়, আমারই জন্য বাংলো ঠিক করার জন্য! এখান থেকে সেই কমপাউন্ডে ড্রাইভ করে যেতেও লাগবে কমপক্ষে ২০/২৫ মিনিট থেকে ৪০/৪৫ মিনিট, নির্ভর করে যা জ্যামের উপর। উত্তরে সাথে সাথে জানালাম, কপাল ভাল যে আজ কোন মিটিং রাখিনি। কারণ টেবিলে দৈনন্দিন অপারেশনাল কাজের জমেছে ফাইল প্রচুর! এতে আশ্বস্ত গিউসি চলে যেতেই মনে হয়েছিল উপরের কথাগুলো। যতোই হউক না কেন ভিসা আমার “নট ফর ওয়ার্ক” সিল মারা, তারপরও গত দুই দিনে অফিসিয়ালি এখানকার ল্যাপটপ, বিজেনস কার্ড আর সৌদি মোবাইল নম্বরযুক্ত ব্ল্যাকবেরি ইস্যু হয়ে যাওয়ায়, এই মরুর বালিতে যে শিকড় গাজিয়েছিল আমার, আজকের এই প্রস্তাবে মনে হচ্ছে, যাচ্ছে সে শিকড় গভীরেই আরো।
এদিকে গিউসি রুম থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতেই, টেবিলের সামনে বসে মিন্ট টিয়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে, রসিয়ে রসিয়ে ফাহাদ যে উচ্চ কণ্ঠ বাংলাবন্দনা করছিল একটু আগে, নিমিষেই সে সেটিকে গিয়ার বদলে ফিস ফিস মিশরিদের বিষোদ্গারে, মানে মাস্রি গিবতে পরিণত করলো! এতোদিন তার মুখে সামষ্টিকভাবে মার্সি গিবত শুনলেও, আজ দেখছি তাগ করেছে সে তা নির্দিষ্ট ব্যক্তির দিকে! আমাকে সাবধান করে বলল সে– “শোন ডঃ সেলিম, এই মার্সি গিউসি যতোই ভালমানুষ ভাব ধরুক না কেন সেও কিন্তু এই অফিসের মাস্রি মাফিয়ার অংশ। অতপর সঠিক ইংরেজি শব্দের খোঁজে হাতড়াতে হাতড়াতে, হাত নাড়িয়ে মুখ ভ্যাংচিয়ে ইয়ান্নি মান্নি ই ই, ধ্বনি তুলে দুয়েকটা আরবি শব্দ উচ্চারণ করে সে যা বোঝাতে চাইল, বুজলাম তাতে যে বলছে সে “গিউসি একটা মহা ত্যাঁদড় মিচকা শয়তান!”
এটুকু বলেই আবারো ভাষার গিয়ার বদলে সরল ইংরেজিতে ফিরে বললো সে– “শোন এ ব্যাটা তোমাকে বাড়ি দেখালেই সাথে সাথে রাজি হবে না। আগে আমাকে জানিও। না না আমাকে না, ফিলকে বলবে। বিগ বস ফিল যদি বলে তবেই উঠবে ঐ বাড়িতে।” শুনে, সামান্য হাসিমুখ করে বললাম ধন্যবাদ। কিন্তু মনে হলো প্রাণ ভরেনি এতে তার। অথচ আমি তো নাচার! এর বেশী কিছু একে বলা, কেন জানি নিরাপদ মনে হচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরেই।
সেই প্রথমবার আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত, এখানকার যে কয়জনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশী আন– অফিসিয়াল ইনফরমাল কথা শুনেছি, তাদের মধ্যে একক চ্যাম্পিয়ন এই সৌদি, ফাহাদ আল হিন্দি । শুরুতে তাকে বেশ আলাপিই মনে হয়েছিল। যেহেতু হাড়েমাংশেমজ্জায় নিজেও আমি আড্ডাবাজই, ভেবেছিলাম তাতে ভালই তো হল! একজন স্থানীয় আড্ডাবাজ পাওয়া গেল, যার সাথে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা জমিয়ে জানা যাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার ভেতরের খবর। সে ধারণা নিয়ে দ্বিতীয়বার রিয়াদে এসে অফিস করা শুরু করতেই, যখন দেখলাম যে রেগুলেটরি ডিপার্টমেন্টের এই ফাহাদ আল হিন্দি, আমার মতোই অফিসের আর্লিবার্ড; তদুপরি অফিসে এসে নিজের রুমে ঢোকার আগে, ঢোকে সোজা আমার রুমে এবং এখানেই বসে সে অফিসের ভারতীয় অফিস বয়টিকে আমাদের দুজনকে দু’কাপ চা দেবার হুকুম ঝাড়ে, বড়ই প্রীত হয়েছিলাম তাতে। কিন্তু অচিরেই আবিস্কার করেছিলাম অন্তত আমার সাথে গল্পগুজব তার, একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন ধরে এগোয়, যার শুরুটা হয় এমন–
নানান ছুতানাতায় প্রথমে সে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এনে শুরু করে বাংলাবন্দনা। ঐ বন্দনা শেষে অফিসের কোন না কোন ঘটনা বা গুজব বা রটনার রেশ ধরে, করে আরম্ভ মিশরিদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার। তারপর তৃতীয় অংশে শুরু হয় নিজ বসের গোষ্ঠী উদ্ধার করে। এই পর্বে ইনিয়ে বিনিয়ে সে যা বলে, তা হলো হাতির মতো বিশালকায় তার বস, তায়সির দাউদ তো নিজের শরীরের ভারেই নড়তে পারে না। দিনের শুরুতে কায়ক্লেশে ককিয়ে ককিয়ে হাচরে পাছড়ে দু পায়ের উপরে টলটলায়মান তার বিশাল বপু নিজ অফিস পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবার পর হাতি তায়সির, কোনক্রমে নিজের ভোমা সাইজ চেয়ারে একবার বসতে পারলে, একমাত্র টয়লেটে যাওয়া ছাড়া সে তো রুম থেকে বেরোই না। তদুপরি সৌদি এফ ডি এতে মানে ড্রাগ রেগুলেটরি অফিসে, বিদেশীদের প্রবেশ অত্যন্ত সংরক্ষিত হওয়ায় সিরিয়ান তায়সির তো ওখানেই যেতেই পারে না। ফলে ঐ অফিসের কাজ সবই করতে হয় ফাহাদকেই। এরপর সাক্ষাৎ প্রমাণ হিসেবে ফাহাদ কিছু ঘটনার জের টেনে বলে, কি দরকার তাহলে অফিসে এতো পয়সা দিয়ে ঐ অকর্মণ্য হাতিটি পোষার? অতপর উপসংহারে বলে, আমি যেন এই সত্যটি সুযোগমতো বস ফিল রাশকে জানাই!
আড্ডা সংক্রান্ত তার এই প্যাটার্নটি ধরে ফেলার পর থেকেই, কথা তার এক কান দিয়ে ঢুকলেও বের করে দেই তা অন্য কান দিয়ে। আজো তাই করলেও, মনে হচ্ছে আমার নীরব কাষ্ঠহাসির জবাবে সন্তুষ্ট নয় সে। কথা ঘোরাবার জন্য তাই করতে চাইলাম সেই প্রশ্নটি, ঘুরছে যা সেই প্রথমদিন শুনেছিলাম যখন তার নাম প্রথম। যা হলো, তার নামের আল হিন্দির মাজেজা কী? অথচ অবাক ব্যাপার! এখন তা না জিজ্ঞেস করে কী না বলে বসলাম, বাংলাদেশীদের ব্যাপারে তার এই উচ্চধারণার কারণ কী? সৌদিতেতো বাঙালিরা ছোটখাট কাজই করে বেশি! যার অন্যতম হল রাস্তা ঝাড়ু দেয়া, টয়লেট পরিষ্কার করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কথা শুনে, শুরুতে থতমত খেলেও, দ্রুতই তা সামলে জানাল সে যে তার বড় ভাই যিনি নাকি একজন কৃষিবিজ্ঞানী, তাকে নাকি কৃষি বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য সৌদি সরকার বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। সেই ভাইয়ের বরাতেই সে জানতে পেরেছে বাংলাদেশীরা বুদ্ধিমান প্রজাতি। হাসতে হাসতে বললাম, শোন আমাদের শহরের সরকারি অফিসে অফিসে যে সব কৃষিবিজ্ঞানীরা কাজ করেন, তাদের চেয়ে ঢের ঢের বেশী সংখ্যায় কৃষিবিজ্ঞানীরা কাজ করেন আমাদের গ্রামগুলোর ফসলের জমিতে জমিতে। বেশ অনেককাল ধরে তাদের অনেকেরই দেখা পাওয়া যায় কিন্তু এই সৌদিরই পথে ঘাটে!
নাহ, সন্তুষ্ট হতে পারল না মনে হলো ফাহাদ। দ্রুত তাই কাপের বাকি চা টুকু কয়েক চুমুকে গিলে, আমাকে বাড়ি ঠিক করার ব্যাপারে ফের সাবধান করে উঠে গেল সে–
ফাহাদ নিষ্ক্রান্ত হতেই, টেবিলে জমা ফাইলের কাজ করতে করতে মনে হল, আরে দুই বারে সব মিলিয়ে রিয়াদ শহরে প্রায় দেড় মাস থাকলেও, রিয়াদ শহরতো দেখা হয়নি এখনো আমার! মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত কথাটির মতো এ পর্যন্ত আমার দৌড়ও তো ছিল ম্যারিয়ট হোটেল টু তাহলিয়া স্ট্রিট টু ম্যারিয়ট। তবে প্রথমবার এসে গিয়েছিলাম পাপ্পু ভাইয়ের বাড়ি আর এবার গিয়েছিলাম জিয়ার বাড়ি। কিন্তু দুইবারই গিয়েছি যেহেতু দুই বাড়িতে অন্ধকার নামার পর, আর যেতে যেতে বলছিলাম নানান কথা তাদের সাথে, তাতে তো দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া চারদিকে। সে হিসাবে বলা চলে আজ দিনের বেলাতেই গিউসি যেহেতু নিয়ে যাবে রিয়াদের অন্যপ্রান্তে, তাতেই দেখতে পাবো প্রথম আজ এ শহরের কিছুটা। অবশ্য চোখে না দেখলে কী হবে? এরই মধ্যে ইন্টারনেটে খোঁচাখুঁচি করে এবং নানান জনের সাথে গল্প গুজবের ফাঁকে ফাঁকে এবং বিশেষত তুমুলপড়ুয়া বস ফিল রাশের সাথে কথা বলে যতোটা জেনেছি এই শহর সম্পর্কে তা থেকে জানি
রিয়াদ হলো নজদ মালভূমির আন নাফুদ মরুতে গড়ে উঠা একটি শহর, যার গোড়া পত্তন হয়েছিল সেই ১৭৪৫ সালে, দাহাম ইবনে দাওয়াস নামের এক এই উপজাতীয় নেতার হাতে। এখানে দাহাম একটি প্রাসাদ ও তা ঘিরে একটি আস্ত নগর গড়ে উঠার গোড়াপত্তন করার পর, সেটির সুরক্ষার জন্য গোটা শহরটিকে ঘিরে দিয়েছিল সুউচ্চ দেয়ালে। তাতে রিয়াদকে একসময় দেয়ালঘেরা নগরও বলা হতো। তারপর পরবর্তী প্রায় পৌনে দুইশ বছরের নানান সময়ে, মরু উপজাতীয়দের নানান কারণে মধ্যে সংঘটিত রক্তাক্ত যুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাসের পরিক্রমায়, নানান হাত বদল হয়ে, ১৯২৬ সালে আবদুল আজিজ ইবনে সাউদ যখন বর্তমান সৌদি আরব রাষ্ট্রটির জন্ম দেন, রিয়াদকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি তখন। তাতেই পরবর্তিতে এটি কলেবরে বড় হতে হতে পরিণত হয় আরব উপদ্বীপের বৃহত্তম নগরীতে। তাইই নয় শুধু! গোটা আরব বিশ্বেই আজ কায়রো ও বাগদাদের পর, রিয়াদই হলো তৃতীয় বৃহত্তম মরুনগর।
মনজাবর কেটে মগজের নিউরন থেকে এ বিবরণ দাঁড় করাতে না করাতেই এসময় বিদ্যুৎ ঝলকের মতো মনে পড়লো, বলেছিল ফিল যে, রিয়াদে একটা মৌসুমি নদীও আছে। নাম সেটির ওয়াদি হানিফা। যদিও একদিকে যেমন জানা ছিল আমার যে, সুবিখ্যাত নীল নদের অবস্থানও মরুভূমিতেই, তারপরও সেই স্কুলের ভূগোল বই থেকে মরুভূমি সম্পর্কে যে জ্ঞান আহরণ করেছিলাম, তাতে কেন জানি মরুভূমিতে যে নদী থাকতে পারে এ কথা ভাবিনি মনে হয় সচেতনভাবে। ফিলের কথায় অবাকই হয়েছিলাম তাই কিছুটা। আর এখন সেই নদীর কথা মনে হতেই, সেটির তীরে যাবার জন্য হঠাত আকুপাকু করতে শুরু করলো মন! ফলে ঠিক করলাম যে, বাড়ি খোঁজার কাজ শেষে বলবো গিউসিকে নিয়ে যেতে ওয়াদি হানিফার পাড়ে।
এরপর সমগ্র মনোযোগ টেবিলের ফাইলে ডুবে যাওয়ায় টেরই পাইনি কখন বেজে গেছে ১০টা। এখন গিউসি এস তাড়া দিতেই ফাইলপত্র দ্রুত গোছগাছ করে ধরলাম তার পিছু–
অফিস বিল্ডিংয়ের মাটির তলার পার্কিংলটে থাকা গিউসি গাড়ির দিকে নামতে নামতে গিউসি বলতে লাগলো, সে ও বস ফিল রাশ যেই যেই কমপাউন্ডে থাকেন, সে দুটোতে কোন বাংলোই খালি না থাকায়, গত কয়েকদিনে অন্য কয়েকটি কমপাউন্ডে খোঁজ নিয়েছিল ফোনে। ওইসবের দুটোতে খালি বাংলো থাকলেও, কর্তৃপক্ষ যখনই শুনেছে, একজন বাংলদেশী উঠবে ওখানে, মুখের উপর না করে দিয়েছিল। এখন যাচ্ছি যেখানে, সেখানে বেশ কয়েকটা বাংলোই ফাঁকা আছে। তবে এখন আর সে ফোনে কথা বলার ঝুঁকি না নিয়ে, যাচ্ছে সরাসরি আমাকে নিয়েই। ধারণা করছে সে আমাকে দেখার পর এবং আমার সাথে কথা বলার পর এই কর্তৃপক্ষ আর মানা করতে পারবে না।
কথায় যে আছে, কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিতে নাই, এ যে কতো সঠিক কথা টের পেলাম তা ফের। সৌদিরা বাংলাদেশীদের কী চোখে দেখে, তা তো সর্বজনবিদিত ঐতিহাসিক সত্যই। আবার নিজেও তো পেয়েছি এ ব্যপারে এক্কেবারে হাতে হাতে কিছু প্রমাণ। তদুপরি শুধু এই সৌদিদের কথাই বলছি কেন, বছরখানেক আগে ছিলাম যখন সিঙ্গাপুরে, তখনও তো শুনেছি চায়নিজ সিঙ্গাপুরি বাড়িওয়ালারা শুধু বাংলাদেশিই না ভারতীয়দেরও বাড়ি ভাড়া দিতে চায় না। এতো সব জানার পরও, গিউসির মুখে উপরোক্ত কথা শুনে মনটা বড়ই দমে গেলে পর নিজেকেই নিজে প্রবোধ দিলাম এই বলে যে– আসলে দিনশেষে মানবজাতি যে, একটি রেসিস্ট প্রজাতি এটাই বড় সত্য। যে কোন নামেই, যখনই মানব প্রজাতির কোন অংশ, নিজদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘোষণা দিতে বা ভাবতে শুরু করে, তাতেই গোড়াপত্তন রেসিজমের। পার্থক্য হলো এখানে যেমন তীব্র ঘৃণায় সৌদিরা একদম নগ্নভাবে প্রকাশ করে তাদের রেসিস্ট চেহারা, সে জায়গায় আইনের ভয়ে সিঙ্গাপুরীরা করে তা ব্রিটিশ ভদ্রতার মোড়কে নিরবে। আর হিটলারের সেই রেসিস্ট উন্মত্ততার কথাতো জানে জগতের সকলেই। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা বাঙ্গালিরা শুধু বিদেশেই কেন? ১৯৭১ নিজ বাসভূমেই তো মুখোমুখি হয়েছিলাম ইয়াহিয়া টিক্কা পরিচালিত ভয়ংকর রক্তাক্ত ফাকিস্তানি রেসিজমের! অতএব কোন দুঃখে করছি আমি এখন মন খারাপ? নাহ করবো না মন খারাপ! ইন্সটিড উইল ডেফিনিটলি ফাইট ব্যাক, এজ ডিড বাঙালি টাইম এন্ড এগেইন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক