গারাংগিয়া কামিল মাদ্রাসার তিনদিনব্যাপী মাহফিল গত ১৮ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। মোনাজাত পরিচালনা করেন গারাংগিয়ার পীর শাহ্ সূফি মাওলানা মুহাম্মদ আনওয়ারুল হক ছিদ্দিকী। তিনি বলেন, তরিকত হলো আল্লাহ ও রাসূলের পথে পরিভ্রমণ করা। তরিকতের মুর্শিদ বলতে ঐ ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি এক অচেনা–অজানা পথের রাস্তা দেখিয়ে দেন। সাধারণ শরীয়তের জ্ঞান বিদ্যা সকলেই কম বেশী জানে, বোঝে বা মানে। আর তরিকতের জ্ঞান হলো আল্লাহর সৃষ্টি জগতের এক বিশেষ জ্ঞান। যা সকলে সমভাবে জানে না, বোঝে না বা সকলের উপলব্ধিতে আসে না। বাদ মাগরিব ফাতেহা শরিফ ও মোনাজাত পূর্বে আলোচনায় পীর সাহেব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হক মজিদি বলেন, বর্তমান সমাজে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষ বায়াতের কথা শোনামাত্র ঈমান হারানো কিংবা শিরক ভেবে আতংকিত হয়ে পড়েন। তরিকতের জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ হলো বায়াতে রাসূল (স.) গ্রহণ করা। তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের সমাপনী দিবস ১৭ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম। দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির দক্ষিণ জেলা সহ– সভাপতি ইদ্রিস মিয়া,সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আ.ক.ম. আবদুল কাদের,শায়খুল হাদিস হাফেজ শাহে আলম, ড. এনামুল হক মোজাদ্দেদী, ড. মাওলানা ছাবের আহমদ, শায়খ জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ,শাহাজাদা ফানাফিল্লাহ বিন আজাদ, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুরুল আজীম, শফিউল হক জিহাদী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।