আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন নেতাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নারী শিক্ষা নিষিদ্ধের কারণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আফগান তালেবান শাসকদের দূরত্ব বাড়ার মধ্যে অত্যন্ত কড়া ভাষায় এ নীতির নিন্দা করেছেন এই তালেবান কর্মকর্তা।
ভারপ্রাপ্ত তালেবান উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই ২০২১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার আগে দোহায় তালেবানের আলোচক দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ সপ্তাহান্তে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, মেয়ে ও নারীদের শিক্ষার ওপর কড়াকড়ি ইসলামি শরিয়া আইনের পরিপন্থি। স্থানীয় টোলো সমপ্রচার মাধ্যমে তালেবান প্রশাসনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইসলামিক আমিরাতের নেতাদেরকে শিক্ষার দ্বার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
স্তানেকজাই আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর যুগে শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের দ্বার নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আফগানিস্তানের নারীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ ৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে আমরা ২ কোটি মানুষের প্রতি (নারী জনগোষ্ঠী) অবিচার করছি। খবর বিডিনিউজের।
যদিও তালেবানদের দাবি, তারা ইসলামিক আইন ও আফগান সংস্কৃতির ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারীদের অধিকারকে সম্মান করে। এর আগে, ২০২১ সালে অগাস্টের মাঝামাঝি আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ছেলেদের জন্য উচ্চবিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।