ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত মুখ ছিলেন ডেভিড মালান। হয়েছিলেন টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বসেরা ব্যাটার। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা হলেও নিয়মিত বিপিএল খেলতে দেখা যায় মালানকে। চলমান আসরেও খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। আর ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে মালানের কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশের প্রতি। চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন মালান, ‘ক্রিকেটীয় পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বাংলাদেশ সবসময়ই দারুণ একটা জায়গা। কয়েক বছর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। ১১–১২ বছর হয়ে গেছে হয়ত। একইসাথে পাকিস্তান সুপার লিগ খেলে আমার খেলায় উন্নতি করতে সহায়তা করেছে। এসব জায়গার কন্ডিশন কঠিন। বিপিএল, ডিপিএল, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে দ্রুত এবং সহজে উন্নতি করা যায়।’ এবারের বিপিএলে আগেই খেলতে না আসার হতাশাও ফুটলো মালানের কণ্ঠে, ‘বিপিএল খুব ভালো হচ্ছে। আগের ম্যাচগুলো খেলতে না পেরে হতাশ কারণ সিলেটের উইকেট খুবই ভালো ছিল। চট্টগ্রামের উইকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেট। বাংলাদেশে আসলে চ্যালেঞ্জটা হলো আমরা আমাদের অভ্যস্ত উইকেট পাই না। তবে এবার বাকি দুই ভেন্যুও ভালো ছিল।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই এমন পিচের দরকার বলে জানান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা, ‘আশা করি এটা ধরে রাখা হবে। এতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরই উন্নতি হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরাটা খেলতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। খেলোয়াড়দের অ্যাটাকিং পাওয়ার তৈরি হবে, রান তাড়ার মানসিকতা তৈরি হবে, চাপ সামলাতে পারবে তাই ভালো উইকেট যত হবে, তত উন্নতি হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে মালান বলেন, ‘বরিশাল অধিনায়ক তামিম দারুণভাবে দল পরিচালনা করছে। কে খেলছে, কে খেলছে না, কেন খেলছে না এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে রাখে। দল খুশি, স্পিরিটও ভালো। এটা এমন একটা দল যা ভালো খেলোয়াড়ে ভরপুর। চট্টগ্রাম তামিমের চেনা, ব্যাপারটা আশা করি আমাদের সহায়তা করবে। তবে গত রাতের ম্যাচে দেখলাম চিটাগং কিংস প্রচুর দর্শকের সমর্থন পেয়েছে। তারা খুব ভালো দল, ভালো খেলছেও। তাই দর্শক সমর্থন ওদের পক্ষে থাকলে অবাক হব না।’